সিসোদিয়ার পর কবিতা: কেন ইডির তলব KCR কন্যাকে!

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কে কবিতাকে সিবিআইও হায়দরাবাদে ৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করে।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy Scam) বর্তমানে জেলে আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। তবে এই দুর্নীতির জাল শুধু রাজধানীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দক্ষিণের রাজ্যেও ছড়িয়ে রয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডির। গত মাসেই দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা (K Kavitha)-কে জেরা করেছিল সিবিআই (CBI)। এবার সেই একই মামলায় জেরার জন্য কেসিআর কন্যাকে তলব করল ইডিও (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ কে কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কে কবিতাকে সিবিআইও হায়দরাবাদে ৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করে। সূত্রের খবর, ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে দিল্লির আবগারি নীতির মাধ্যমে শুধু দিল্লির হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ীই নন, দক্ষিণের রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়ীও লাভবান হয়েছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। তাঁর পাশাপাশি মাগুন্টা শ্রীনীবাসালু রেড্ডি, অন্ধ্র প্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এক সাংসদ এবং অরবিন্দ ফার্মার শরথ রেড্ডিও জড়িত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবারই এই মামলায় ধৃত হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাইকে আগামী ১৩ মার্চ অবধি এবং মদ ব্যবসায়ী আমনদীপ ধালকে ২১ মার্চ অবধি ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আপ নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। গ্রেফতারির পরই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ যাবতীয় মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁকে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দ্রশেখর কন্যা। একটি টুইটে তিনি জানান, দেশের আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে আমি তদন্তে সব রকমের সহায়তা করব। যদিও ওই দিন ধর্না এবং অন্যান্য পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় আইনি পরামর্শ দিতে পারি।

এরপরই কবিতার অভিযোগ, আগামী ১০ মার্চ মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিরোধীদের ধর্না কর্মসূচির ঠিক আগেই ইডির এই নোটিস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

 

 

Previous articleকেরলের মুখ্যমন্ত্রীর পিএস’কে কেন টানা জেরা ইডির
Next articleকীভাবে চোখে আঘাত দেবের: হারানোর ভয় নেই তো!