গরুপাচার মামলায় ফের নয়া তথ্য, ১২১ সম্পত্তির মালিক অনুব্রত!

গরুপাচার মামলায় ফের নয়া তথ্য। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী, কন্যা, আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ । ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন ১২১টি সম্পত্তি এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে। এর মধ্যে বীরভূমের বোলপুর, গয়েশপুর, নানুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় রয়েছে কিছু ।

ইডি-র দাবি, অনুব্রতর নামে ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, স্ত্রী ছবির নামে ছ’টি, এ ছাড়াও, অনুব্রতর আত্মীয় শিবানী ঘোষের নামে ১২টি, কমলকান্তি ঘোষের নামে পাঁচটি, রাজা ঘোষের নামে ন’টি এবং পারমিতা ঘোষের নামে চারটি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ইডি-র দাবি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ৩২টি, তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামে দু’টি এবং বিদ্যুতের মেয়ে অনুশ্রীর নামেও একটি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। গরুপাচারকাণ্ডের কালো টাকা সাদা করতেই বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে মনে করছে ইডি।

শুধুমাত্র এখানে থেমে থাকেননি অনুব্রত, বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখিয়ে জমি কেনাবেচা হয়েছে। যেমন, ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দেখানো হয়েছে ৮ লক্ষ টাকায় কেনা। ২০১৩ থেকে ২২-এর মধ্যে অনুব্রত-সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রো কেমের নামে ৯ কোটি ৭১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকার সম্পত্তি কেনা হলেও তার ডিড ভ্যালু দেখানো হয়েছে ৬ কোটি টাকা।

ইডি-র দাবি, এ ভাবে অনুব্রত বোলপুরের গয়েশপুর মৌজায় ৩০৪ শতক জমি নগদ ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকায় কিনে ধাপে ধাপে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করতেই এভাবে সম্পত্তি বেচাকেনা হয়েছে বলে ইডি-র সন্দেহ।

শুধু তাই নয়, নগদেই প্রায় সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি অনুব্রত কেনেন বলে দাবি ইডি-র। সূত্রের খবর, ২০১৪-র ১০ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রচুর সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় কেনা হয়েছিল সমস্ত জমি। বেশিরভাগেরই দাম মেটানো হয়েছিল নগদে।

 

Previous articleসাধের পোষ্যের প্রা*ণ সং*শয়ের আশঙ্কা! পুলিশের দ্বারস্থ ‘অসহায়’ মহিলা   
Next articleসিদ্দিকুল্লার নেতৃত্বে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ময়নাতদন্তে চার সদস্যের কমিটি তৃণমূলের