রাত পোহালেই ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে ‘শহিদ স্মরণ’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।

এবারের ১৪ মার্চের সমাবেশ অন্য বছরের তুলনায় ছোট আকারে হবে। কারণ মঙ্গলবার সমাবেশের দিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে বড় জমায়েত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০০৭ সালে এদিনই শহিদ হয়েছিলেন ১৪ জন নন্দীগ্রামবাসী। জখম ও নিখোঁজ হয়েছিলেন অনেকে। জমি রক্ষার আন্দোলনে সেই শহীদদের তারপর থেকেই প্রতিবছর এই দিনে তর্পণ করে নন্দীগ্রামের ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। দুই জায়গার শহিদবেদিতে মাল্যদান ও শহিদ স্মরণ সহ নানা অনুষ্ঠানের এবারও আয়োজন করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে সকাল দশটায় এবং সোনাচূড়ায় সকাল এগারোটায় শহিদ তর্পণ হবে। শহিদ তর্পণে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য , মন্ত্রী অখিল গিরি , রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সায়নী ঘোষ,সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমেন মহাপাত্র,সুপ্রকাশ গিরি, আজগর আলী, শহীদমাতা ফিরোজা বিবি সহ অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব।
সেই রক্ত ঝরা দিনটির স্মৃতি নন্দীগ্রামবাসীদের মনে আজও দগদগে। বামেদের সেই হার্মাদদেরকে আজও মনে প্রাণে ঘৃণা করে নন্দীগ্রাম। সেদিনের বামেদের নব কুমার সামন্তের মতো হার্মাদরা এখন পদ্ম শিবির আলো করে ঘুরে বেড়ায়। তারাই এখন গদ্দার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গী। তাই এবার ১৪ই মার্চ নন্দীগ্রাম দিবসে গদ্দারকে না ঢুকতে দেওয়ার ব্রত নিয়েছে নন্দীগ্রামবাসী। এখানকার সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, গদ্দার ও তাদের সঙ্গীরা শহিদবেদিকে ছুঁয়ে অপবিত্র করে দেন। এবার তেমনটা হবে না।
