‘পাঞ্জাবের ঘরে ঘরে ড্রা*গস রয়েছে’, বি*স্ফোরক অমৃতপালের পিতা

এখনও অধরা খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং । তাঁকে গ্রেফতার করতে বিশাল অভিযান শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। এর মধ্যেই তাঁর বাবা তারসেম সিং দাবি করলেন, অমৃতপাল যেহেতু ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে তারসেম জানান, ”পাঞ্জাবের ঘরে ঘরে ড্রাগস রয়েছে।”

আরও পড়ুন:দেশ বিরোধিতার প্রশ্নই ওঠে না! লন্ডনে করা মন্তব্যের কী ব্যাখ্যা দিলেন রাহুল?

কী বলছেন অমৃতপালের বাবা?

ড্রাগ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না পুলিশ। উল্টে অমৃতপালের পিছনে পড়ে রয়েছে।আমার ছেলে তো কয়েক মাস আগে দেশে ফিরেছে। এর আগে যত অপরাধ হয়েছে, তখন পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে? এর আলস কারণ অমৃতপাল ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। সেই কারণেই ওকে গ্রেফতার করার জন্য রাজনৈতিক মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। পাঞ্জাবে ঘরে ঘরে ড্রাগস। কিন্তু সেদিকে কোনও নজর দেওয়া হচ্ছে না। যদি কেউ ড্রাগের দৌরাত্ম্য শেষ করার চেষ্টা করে তাকে এভাবেই থামিয়ে দেওয়া হয়।” সেই সঙ্গে তারসেমের আরও দাবি, তাঁর ঘরে অতক্ষণ তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ কিছুই পায়নি।

খলিস্তানি সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’র প্রধান অমৃতপাল। গত মাসেই তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুচর লভপ্রীত তুফানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই অমৃতপাল লভপ্রীতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করতে আর্জি জানান। সাফ জানিয়ে দেন, “এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত অভিযোগ খারিজ না করলে ফল ভাল হবে না। অভিযোগ বাতিল না করলে যদি কোনও সমস্যা হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে শুধুমাত্র প্রশাসন।” এরপরই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। থানা ঘেরাও করেছিলেন অমৃতপালের অনুগামীরা। হামলায় আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী।


সূত্রের খবর, এখনও অবধি অমৃতপালের ঘনিষ্ট ৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অমৃতপাল সিংকে বাইকে করে পালাতে দেখা গিয়েছে। তাঁর অন্যতম সহকারী দলজিৎ সিং কালসী, যিনি ওই খলিস্তানি নেতার আর্থিক লেনদেন দেখতেন, তাঁকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।