তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আ.শঙ্কা! অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের ঠিকানা তিহার জেল

তবে এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী মণীশকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি না জানালেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) পর এবার হিসাবরক্ষক (Accountant) মণীশ কোঠারির (Manish Kothari) বর্তমান ঠিকানা তিহার জেল (Tihar Jail)। সোমবারই তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Rouse Avenue Court)। গত সপ্তাহে গ্রেফতারের পর ইডি (Enforcement Directorate) হেফাজতেই ছিলেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক। আর সোমবার হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে ফের আদালতে হাজির করানো হয়। এরপরই রাউস অ্যাভিনিউ আদালত মণীশের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দেয়। আপাতত আগামী ১৪ দিন তিহার জেলেই থাকতে হবে মণীশের হিসাবরক্ষককে। তবে এদিন স্বামীর জেল হেফাজতের নির্দেশ শুনে ভেঙে পড়েন স্ত্রী। এরপরই স্বামীকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করে ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মণীশের স্ত্রী।

তবে এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী মণীশকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি না জানালেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তাই আর নতুন করে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার কোনও দরকার নেই। কিন্তু ইডির আইনজীবী এরপরই সংশয় প্রকাশ করেন মণীশকে জামিনে মুক্ত হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে আবারও তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি। যদিও এদিন শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। এদিন দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর সদর দফতরে হাজিরা দিতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ। ইডি সূত্রে খবর, সেই দিন মণীশ ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দু’জনের বক্তব্যেই অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপরই হিসাবরক্ষককে গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে। ইতিমধ্যে বোলপুরের একাধিক জায়গায় মণীশের নামে বিপুল সম্পত্তির হিসাব পায় ইডি। আর তারপরই তাঁকে দিল্লিতে তলব করে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

 

 

 

Previous articleইতিহাস গড়ল সোনার দাম, কত হল ১০ গ্রাম সোনালি ধাতু!
Next article‘ইস্টবেঙ্গলও ভালো দল গড়ুক, ওড়াও সাফল্য পাক’, সোমবার সেলিব্রেশনের ফাঁকে বললেন বাগান সচিব