শর্তসাপেক্ষে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের !

এর আগে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা বলে এই বিষয়টিতে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করে মামলা করেছিলেন ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই জরুরি শুনানি হয় আজ। ডিএ আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তোলেন কী ভাবে ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে (Saheed Minar) তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হল?

DA আন্দোলনকারীদের আবেদন অগ্রাহ্য করে শর্তসাপেক্ষে ছাত্র যুব তৃণমূলের (TMC)সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Rajshekhar Mantha) বেঞ্চে আজ এই আবেদনের শুনানি হয়। সেখানেই শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

এর আগে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা বলে এই বিষয়টিতে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করে মামলা করেছিলেন ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই জরুরি শুনানি হয় আজ। ডিএ আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তোলেন কী ভাবে ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে (Saheed Minar) তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হল? কিন্তু সভা বাতিলের আবেদন করলেও তা সহজেই খারিজ করে দেয় আদালত। তবে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রেখে সভা করতে হবে বলে বিচারপতি জানান। মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যেখানে ডিএ মঞ্চ রয়েছে সেখানে এই সভা হলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় কমপক্ষে ৪০-৫০ হাজার লোক হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে। আর তাতে একটা বড় গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। আজ দুপুর ২টোয় এই শুনানি শুরু হলে মামলাকারীদের আইনজীবী সভা অন্যত্র করার আবেদন করলে, বিচারপতি জানান যদি নিয়ম মেনে সভা করা সম্ভব হয় তবে অনুমতি দিতে সমস্যা কোথায়? আদালতের তরফে বলা হয়েছে –

  • সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দিতে হবে শহিদ মিনার চত্বর, বিশেষ নজর প্রবেশ ও প্রস্থান গেটে
  • বাঁশ ও দশ ফুট উচ্চতার টিনের ব্যারিকেড দিতে হবে
  • ডিএ আন্দোলন মঞ্চের দিকে দুই স্তরে ব্যারিকেড দিতে হবে
  • সভামঞ্চের সীমানায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে
  • তৃণমূলের ওই সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না
  • সভা শেষে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে যাতে পরে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়

কলকাতা পুলিশের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থার। তিনি জানিয়েছেন পুলিশকে বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে। একই জায়গায় যাতে দুটি সভাস্থল করার অনুমতি আর না দেওয়া হয় এই নিয়ে পুলিশ কমিশনারকে সতর্ক করেন বিচারপতি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সকলেরই সভা বা মিছিল করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মামলাকারীদের আশঙ্কাও একেবারেই অগ্রাহ্য করে নি আদালত। তাই সব দিক বিবেচনা করেই শর্ত সাপেক্ষে তৃণমূলের সভায় অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের এই সভা রাজনৈতিক আলোচনার চর্চায় রয়েছে। ছাত্র যুবদের অনুপ্রাণিত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামিকাল শহিদ মিনারের সভামঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন এখন সেটাই দেখার।