বুধবার, নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য ‘টর্নেডো’র চেহারা নেবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টুইট করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin) জানালেন, অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বিষয়ে ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।

নিজের টুইটার (Twitter) হ্যান্ডেলে স্ট্যালিন লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলেন। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালদের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের উদ্যোগের তিনি প্রশংসা করেন। পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সমস্ত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে এক জোট হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।“
জগদীপ ধনকড়ের (Jagdip Dhankar) আমলে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাতের চরমে ওঠে। সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকে প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকলেও, মাঝে মধ্যে ঠান্ডা লড়াই হচ্ছে। রাজ্যের শাসকদল শুধু নয়, BJP বিরোধীদলগুলিও অভিযোগ করে অ-বিজেপি রাজ্যে প্রশাসনকে বিরক্ত করতেই রাজ্যপালদের পাঠাচ্ছে মোদি সরকার। তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সব কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলেন স্ট্যালিন। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকড়ের মতো আরএন রবিকেও বিজেপি নেতা বলে কটাক্ষ করে সে রাজ্যের শাসকদল ডিএমকে। রাজ্যের বিলগুলিতে রাজ্যপালের সই করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি তামিলনাড়ু বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিজেদের বিধানসভায় এই প্রস্তাব আনার জন্য চিঠি লিখেছিলেন স্ট্যালিন। সেই বিষয়ে তাঁর উদ্যোগে মমতা প্রশংসা করেছেন বলেই হয়ত লিখেছেন স্ট্যালিন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে সেকোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়েই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথোপকথন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
