সমলি.ঙ্গ বিবাহের বৈধতা সহজ নয়! নির্ধারিত কাঠামো তৈরির পক্ষেই সুপ্রিম সওয়াল

প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এই বিষয়ে এখনও প্রচুর ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। এদিকে, মামলা চলাকালীনই প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ৪০০ সমকামী, রূপান্তরকামী ও বহুকামীর অভিভাবকরা।

ব্যক্তিগত আইনকে স্পর্শ না করে সমলিঙ্গ বিবাহকে (Same Sex arriage) বৈধতা দেওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। বুধবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালতে সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Chief Justice DY CHandrachud) নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে। প্রাথমিকভাবে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। এবার প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিলেন, আদালতের দ্বারাই নির্ধারিত কাঠামো তৈরি করা উচিত। বিবাহ (Marriage) ও ডিভোর্স (Divorce) সংক্রান্ত আইন তৈরি করা সংসদের কাজ। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কত দূর হস্তক্ষেপ করতে পারে এদিন সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এই বিষয়ে এখনও প্রচুর ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। এদিকে, মামলা চলাকালীনই প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন ৪০০ সমকামী, রূপান্তরকামী ও বহুকামীর অভিভাবকরা।

তবে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) সওয়াল জবাব চলাকালীন প্রশ্ন তোলেন, বিবাহের অধিকার কী মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে? এরপরই সমলিঙ্গে বিবাহ প্রসঙ্গে তুষার মেহতার মন্তব্য, বিয়ের অধিকার থাকতেই হবে তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, বিপরীত লিঙ্গে সব ধর্মই  বিবাহের পক্ষে। সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, আইনের দ্বারা বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই বয়সেই বিয়ে করা যেতে পারে। সবটাই আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, সমাজের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। মানুষের কাছে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিত। তাই সমলিঙ্গে বিবাহ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক সংসদকে। আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলা প্রসঙ্গে নির্দেশিকা জারি করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, ভারতে সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই আবহে লাগাতার এই মামলার শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ককে ‘অপরাধমুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ব্রিটিশ জমানার বহু পুরোনো আইনকে প্রত্যাহার করে পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার আওতায় দু’জনের পূর্ণ সম্মতিতে সমকাম সম্পর্ক অপরাধ নয়। সেই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ছিলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তবে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও সমকামী বিয়ে এখনও আইনি বৈধতা পায়নি ভারতে।

 

 

 

Previous articleমালদহের স্কুলের ঘটনার পিছনে চক্রা.ন্ত! বিস্ফো.রক অভি*যোগ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleআইপিএল-এ ফর্মে নেই রোহিত, বিরাট টোটকা গাভাস্করের