কলকাতায় প্রথম গুপী-বাঘার মূর্তি স্থাপন, সঙ্গে রইলেন ‘ রাজামশাই’

কী চাইলেন তিনি ভূতের রাজার কাছে? সহাস্যে কুণালের উত্তর, যা যা পেয়েছিলেন গুপী বাঘা সেটা পেলেই যথেষ্ট।

১০০ গড়পার রোড ঠিকানাটা শুনলেই বাঙালির মনে দূর থেকে ভেসে আসা ট্রেনের হুইসেল আর কাশফুলের বনে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা দুই ভাইবোনের ছবি ভেসে ওঠে। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের(Bengali Film Industry) পথ প্রদর্শক ছিলেন আছেন থাকবেন সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। তাঁর জন্মদিনে সকাল থেকেই নস্টালজিক তাঁর বাড়ি, কর্মভূমি। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অয়ন চক্রবর্তীর (Ayan Chakraborty) উদ্যোগে বাঙালির প্রিয় মানিকের বাড়ি থেকে দশ পা দূরেই বসল গুপী গাইন বাঘা বাইনের মূর্তি। অবশ্য যুগলে ‘একা’ নন, সঙ্গে এলেন ভূতের রাজা। ২ মে সত্যজিতের জন্মদিনে মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক , তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নস্টালজিয়ায় ভাসল সত্যজিতের পাড়া।

যে বাড়িতে বসে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী গুপী গাইন বাঘা বাইনকে জন্ম দিলেন সেই বাড়িতেই সত্যজিতের জন্ম। যে পাড়ায় সুকুমার রায় ‘পাগলা দাশু’কে পরিচয় করালেন বাঙালি পাঠকের সঙ্গে, সেখানেই যে বাঙালি সাহিত্য সংস্কৃতির পীঠস্থান। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী বলছেন, বাঙালির স্মৃতিচারণায় বারবার ধরা দেন সত্যজিৎ। তাই তাঁর অমর সৃষ্টিকে নিজের এলাকায় ধরে রাখতে পেরে আপ্লুত তিনি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভূমিপুত্র কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যে। অয়নের কথায়, ” কুণাল দা প্রথম বলেন এই রকম ভাবনা চিন্তা করার কথা যার মাধ্যমে বাঙালিয়ানাকে সবার মধ্যে তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের শৈশবকে এই প্রজন্মের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে।” গড়পার রোডে প্রবেশ করতে গেলেই ডান দিকে ধরা দেবেন গুপী-বাঘা। কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলছেন, এখনকার বিশেষ চমক ভূতের রাজাও। মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে আনন্দিত কুণাল। বললেন, এরপরে জটায়ুকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। ততক্ষণে এলাকার মানুষ এবং পথচারীরাও ভিড় জমিয়েছেন। রাস্তার একপাশে যাযাবর ব্যান্ডের লাইভ অনুষ্ঠান। গায়ক গৌরব জানালেন, ফিউশনে সত্যজিৎ রায়ের সুরের ম্যাজিক রিক্রিয়েট করতে চান তাঁরা। গুপী গাইন বাঘা বাইন থেকে হীরক রাজার দেশে – একের পর এক সত্যজিতের সিনেমার গান গাইলেন তাঁরা, প্রায় মিনিট ৩০ ধরে।

ঘড়ির কাঁটা দ্রুত এগোচ্ছে সন্ধে পেরিয়ে রাতের দিকে। কিন্তু ছোট সদস্যরা বিস্ময়ে যেন চোখ ফেরাতে পারছে না। পাড়ার মহিলারাও গর্বিত। ধন্যবাদ জানালেন পৌরপিতা অয়ন চক্রবর্তীকে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত বসে রইলেন কুণাল। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন । নিজের মোবাইলে অনেক ছবি তুললেন । কী চাইলেন তিনি ভূতের রাজার কাছে? সহাস্যে কুণালের উত্তর, যা যা পেয়েছিলেন গুপী বাঘা সেটা পেলেই যথেষ্ট।


 

Previous articleরো.হিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির
Next articleহরিদেবপুরে মাকেই পু*ড়িয়ে মা*রার ছক কষেছিল মেয়ে! গ্রে*ফতার করে হোমে পাঠালো পুলিশ