Monday, August 25, 2025

“যোগ্য আর কেউ নেই?” ইডি প্রধানের পুনর্বহালে কেন্দ্রকে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের

Date:

পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে বারবার বিরোধীদের নিশানায় এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই সংস্থার শীর্ষপদে থাকা সঞ্জয় কুমার মিশ্রের(Sanjay Kumar Mishra) মেয়াদ শেষের পরও তাঁকে দফায় দফায় ৩ বার পুনর্বহাল করেছে কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন রাখল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। আদালতের প্রশ্ন, “এই সংস্থায় আর কি কোনও যোগ্য মানুষ নেই, যিনি এই কাজটি করতে পারেন?” ইনি কবে অবসর নেবেন তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি। পাশাপাশি একজন মানুষকে এতটা ভরসা করার কারণ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।

২০২০ সালে ইডির ডিরেক্টর হয়েছিলেন সঞ্জয় কুমার মিশ্র। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২ বছর। কিন্তু মেয়াদ শেষের পরও তাঁকে সরায়নি মোদি সরকার। বরং দফায় দফায় ৩ বার তাঁর মেয়াদ বাড়িয়েছে। কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এদিকে ২০২১ সালে শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়ের কাজের মেয়াদ নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না। কিন্তু ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ আইনে পরিবর্তন আনে মোদি সরকার। যেখানে বলা হয়, সরকার চাইলে সিবিআই এবং ইডি প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এই সংশোধিত বিধির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যান রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, জয়া ঠাকুর এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন রাখল শীর্ষ আদালত।

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...
Exit mobile version