পেশায় দিনমজুর। রাজমিস্ত্রির অধীনে লেবারের কাজ। দিনভর হাড়ভাড়া পরিশ্রমের পর ঘরে ফিরেছিল। বাবা ভ্যান চালক। বয়সের কারণে সবসময় বের হতে পারেন না। রাতে বাড়ি ফিরে মা অসুস্থ দেখেই সাইকেল নিয়ে দৌড়ে গিয়েছিল ওষুধ কিনতে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বেপরোয়া গতির কনভয় পিষে দেয় চণ্ডীপুরের হতদরিদ্র বছর ৩৩-এর শেখ ইসরাফিলকে। বেঘোরে প্রাণ চলে যায় বাড়ির একমাত্র রোজগারে ছেলের।

ইসরাফিলের অভাবের সংসারে আছেন বাবা শফিউদ্দিন খান, মা সায়রা বান বিবি, স্ত্রী মদিনা এবং ক্লাস এইটে পড়া একমাত্র ছেলে ফিরদৌস। ইসরাফিল রাজমিস্ত্রির লেবারের কাজ করে যা রোজগার করতেন তাতেই অভাব অনটনের মধ্যেও কোনওরকমে চলে যেত সংসার। এলাকায় ভালো ছেলে বলেই পরিচিত ইসরাফিলের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে অভাবী ওই পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।
তরতাজা ছেলের এমন ভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শোকাহত পরিবার ও গ্রামবাসীরা। সকলেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। আসলে দুর্ঘটনার পরেও যেভাবে ইসরাফিলকে ছেড়ে পালালো শুভেন্দু ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা, সেটা ভেবেই ক্ষোভের সঞ্চার। আক্ষেপের সুরে সকলের মুখে এককথা, যদি শুভেন্দু একটু মানবিক হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো বা এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যেতেন ইসরাফিল। গরীব বলেই কি এমন পরিণতি?

আরও পড়ুন:রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক, ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় ব্রিটেন
