ফের তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রশংসায় পঞ্চমুখ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ (Trinamoole Nabajowar) নিয়ে বর্তমানে জেলায় জেলায় ঘুরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবার আদালতে কুন্তলকে এউ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”ভারতের যুবরাজের যাত্রায় জনজোয়ার।” এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে তোলা হয় আলিপুর আদালতে। আর সেখানেই সাংবাদিকরা কুন্তলকে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলে নবজোয়ারের প্রশংসা করেন কুন্তল।

উল্লেখ্য, শুক্রবারই কুন্তলকে আদালতে হাজির করানো হয়। পাশাপাশি এদিন হাজিরা দেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত নীলাদ্রি ঘোষ, তাপস মণ্ডলরাও। আর আদালতে ঢোকার মুখে গাড়ি থেকে নামার আগেই কুন্তলকে বরাবরের মতো ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। তাঁকে প্রশ্ন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা প্রসঙ্গে। আর সেই প্রশ্ন শুনে দাঁড়িয়ে যান কুন্তল। তিনি বলেন, “ভারতের যুবরাজের যাত্রায় জনজোয়ার।’’ এদিন শুধুমাত্র এই একটি বাক্যই অভিষেকের প্রশংসায় খরচ করেন কুন্তল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ‘ভারতের যুবরাজ’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই কুন্তল ঘোষই আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) এবং ইডি (ED) তাঁকে জোর করে জেরার মুখে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে। পরে অভিযোগ জানিয়ে কুন্তল নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন। পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে সেই চিঠি দেওয়া হয় হেস্টিংস থানাতেও। কুন্তলের সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেছিলেন, প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন। বিচারের দায়িত্বে আসেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
