Saturday, August 23, 2025

এগরা বি*স্ফোরণে মৃ*ত্যুর নেপথ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া! বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের

Date:

কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে বলেই বাংলার মানুষ বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় কাজ করছেন। টাকা রোজগার করতে গিয়ে প্রাণ গেল তাঁদের। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।আসলে এগরার প্রান্তিক ওই এলাকার মানুষের দারিদ্রকে কাজে লাগাত ভানু বাগ। ওই এলাকার অধিকাংশ পরিবারই দিন-আনা দিন খাওয়া। শ্রমই তাঁদের জীবিকা নির্বাহের উপায়।

এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করে বলেন, ভানু আর ছেলেরা গ্রেফতার হয়েছে।বিষয়টিকে শুভেন্দু অধিকারী গট আপ বলায় কুণালের তোপ,বদ্ধ উন্মাদ। ধরা না পড়লে বলবে ধরা পড়ছে না। ধরা পড়লে বলবে কেন পড়েছে। চোর চিটিংবাজ। নিজে সিবিআই থেকে গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপিতে গিয়ে বসে আছে।

তাঁর স্পষ্ট কথা, সিআইডি তদন্ত করছে। আমরা যদি বলি যে ওখানে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল।ভানুকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে।একটা ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত চলছে। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি এনআইএ চাই বলে গলা ফাটাচ্ছে, অথচ কোর্ট বলেছে দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী রাজধর্ম পালন করছেন।আসলে বিজেপি এনআইএ তখনই বলে, যখন ওরা জড়িত থাকে। যাতে এজেন্সি এসে অপরাধগুলোকে আড়াল করে দেয়।

কুণালের অভিযোগ, ১০০ দিনের জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও লোকগুলো কাজ করে টাকা পায়নি।এরা কী করবে,বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় কাজ করতে হয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে,রাজ্য সরকার চাইছে কাজ দিতে টাকা দিতে।

কুণাল বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, এগরার ঘটনায় দায়ী বিজেপি।ওখানকার সাংসদ দিলীপ ঘোষ।তিনি কোনোদিন একটা অভিযোগ করেছেন?ওখানকার পঞ্চায়েত বিজেপির।তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, ভানু বাগ বিজেপি করত।শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে এসেছেলি ও, আবার অনুগামী হয়ে চলে গিয়েছে।দল অধিকারীদের চোখ দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর দেখেছে।ফলে ওরা দায় এড়াবে কী করে।

মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, একটা বিষয় মনে রাখার যে এনআইএ-র সহযোগী হচ্ছে রাজ্য পুলিশ।তার অভিযোগ, এনআইএ যদি নাগপুর বা গুজরাটে তল্লাশি করে, সেখানে কিছু বলবে না। কারণ বিজেপি রাজ্য।এনআইএর এটাই কাজ। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। তারা এত রাজ্যে তল্লাশি করছে কেন? বামেরাও বলুক এটা নিয়ে। ওরা তো গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করছে।তদন্ত হোক। সব উঠে আসুক।

তিনি বলেন, বিরোধীরা বলছেন, কেন বোমা বানাচ্ছিলেন? এই কাজের সঙ্গে কেন যুক্ত ছিলেন।সিআইডি তদন্ত হচ্ছে। তাতে যা বেরোনোর বেরোবে। পেশা হিসাবে এটা কেন? কথায় কথায় উঠে এল কিছু তথ্য। আমাদের প্রতিবাদও ছিল। ডিসেম্বর ২০২১ থেকে এই রাজ্যকে যে বঞ্চিত করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ আর আবাসের টাকা না আসা। তার ইম্প্যাক্ট পড়েছে। এরা জব কার্ড হোল্ডার ছিলেন। কিন্তু কাজ কোথায়? ফলে ১০০ দিনের যে প্রকল্প, তাতে আইন বলছে এই কাজ যারা করেছে তাদের পারিশ্রমিক দিতে হয়। এই রাজ্যকে ৭৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ২৮০০ কোটি টাকা ওয়েজ দেওয়া হয়নি। এই কাজটা যদি চলত, তারা কাজ পেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করতেন না। এই ফায়ার ক্র্যাকারের কাজ করতেন না।

 

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version