উপেক্ষিত রাষ্ট্রপতি! নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের পথে বিরোধীরা

এদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদকে এক টুকরো স্মারকচিহ্নে পরিণত করেছে বিজেপি-আরএসএসের সরকার। এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সহ বহু বিরোধী নেতার।

আগামী ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন (Parliament New Building Inauguration) করতে চলেছেন। ঘটনাচক্রে ওই দিন আবার বিনায়ক দামোদর সাভারকরের (Vinayak Damodar Savarkar) ১৪০ তম জন্মবার্ষিকী (Birth Anniversary)। ওই দিনটি সংসদ ভবনের উদ্বোধনের জন্য বেছে নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Government)। আর এর পিছনে একদিকে যেমন হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ উঠে আসছে ঠিক তেমনই অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের বার্তা দেওয়ার তাগিদ রয়েছে বিজেপির, এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, সংসদের অভিভাবক হলেন রাষ্ট্রপতি। তাই তাঁর উচিত নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা। বিরোধীদের দাবি, তা না হয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব কৃতিত্ব নিজের করে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন। আর সেকারণে উপেক্ষা করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতিকে। তবে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধীরা (Opposition Leaders)।

এদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি (President) পদকে এক টুকরো স্মারকচিহ্নে পরিণত করেছে বিজেপি-আরএসএসের (BJP RSS) সরকার। এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সহ বহু বিরোধী নেতার। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘কর্তৃত্ববাদী’ রাজনীতির নিন্দা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আগামী রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিরোধীদের আক্রমণের গিলোটিনে পড়েছে বিজেপি সরকার। এর আগে সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানেও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে ছেঁটে মোদিই তা করেছিলেন। এবারেও একই ধারা বজায় রাখায় সোমবার মোদি সরকারকে তুলোধনা করলেন খাড়গে। মল্লিকার্জুনের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে তাঁকে অপমান করেছে। রাষ্ট্রপতির পদকে স্মারক হিসেবে রেখে দিয়েছে বিজেপি। ভোটের স্বার্থে দলিত এবং আদিবাসী রাষ্ট্রপতি করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু, বারংবার এই পদমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা উচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর, টুইটে লিখেছেন খাড়গে।

উল্লেখ্য, আগামী রবিবার বীর সাভারকরের জন্মদিনে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সাড়ে ৬৪ হাজার বর্গমিটার এলাকায় ত্রিকোণাকৃতি চারতলা বাড়িটি গড়ে উঠেছে। কিন্তু, উদ্বোধন নিয়েই প্রবল বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। তবে অধিকাংশ বিরোধী দলনেতার মতে, প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান, কিন্তু আইনসভার প্রধান নন। এর আগে গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী টুইটে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করানো উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নয়।

বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন ভবনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতিকে উপেক্ষা করার এই ইতিহাস নতুন নয়। নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে। কিন্তু সেই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পরবর্তী ধাপে ২০২২ সালের ১১ জুলাই যখন জাতীয় প্রতীক সিংহের ব্রোঞ্জের মূর্তির উদ্বোধন হয় তখনও আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম ছিল না কোবিন্দের। বিরোধীদের যুক্তি, সংবিধানের ৭৯ ধারায় বলা হয়েছে, সংসদ রাষ্ট্রপতি, লোকসভা ও রাজ্যসভা নিয়ে গঠিত।

 

 

 

Previous articleইন্দাসে বজ্রা.ঘাতে স্বজনহারা-আহ.তদের পাশে অভিষেক, চোখের জল মুছিয়ে দিলেন আশ্বাস
Next articleকোহলির চোট নিয়ে কী বললেন আরসিবির প্রধান কোচ?