নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সংঘাত চরমে পৌঁছল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। আগামী ২৮ মে ওই অনুষ্ঠান বয়কটের পথেই হাঁটছে বিরোধীরা। ইস্যু দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না করে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই উদ্বোধনের ভার হাতে তুলে নেওয়া। সংসদ ভবন উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানোর অর্থ তাঁকে অসম্মান করা। যার প্রতিবাদে সরব অন্তত ১৯টি বিরোধী দল।

শুধু তাই নয়, ওইদিন বিতর্কিত বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিন। যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে ইংরেজদের কাছে মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হয়েছিলেন। যা স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সেন্ট্রাল ভিস্তার উদ্বোধনের দিন হিসেবে সাভারকরের জন্মদিনকে বেছে নেওয়াটা বিজেপির রাজনৈতিক উদেশ্য প্রণোদিত মনোভাব বলেই মনে করছে বিরোধীরা।

19 opposition parties issue a joint statement to boycott the inauguration of the new Parliament building on 28th May, saying "When the soul of democracy has been sucked out from the Parliament, we find no value in a new building." pic.twitter.com/7p7lk9CNqq
— ANI (@ANI) May 24, 2023
তৃণমূল তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রবিবারের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করা হচ্ছে। দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন গতকাল মঙ্গলবার এই ইস্যুতে মোদিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন। তাঁর টুইট, “সংসদ নতুন কোনও নতুন ভবন নয়। ঐতিহ্য, নীতি, মূল্যবোধ ও নিয়মের একটি প্রতিষ্ঠান। ভারতীয় গণতন্ত্রের আধার হল সংসদ। প্রধানমন্ত্রী মোদি এটাই বুঝতে পারছেন না। তাঁর কাছে রবিবার নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমি, আমিত্ব ও আমার সর্বস্ব। তাই অনুষ্ঠানে আমাদের বাদ রাখো।”

তৃণমূলের পথে হেঁটে আরও ১৮টি বিরোধী দল একত্রে এই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে। সম্মিলিত ভাবে এই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে বিরোধীরা। যেখানে কংগ্রেস, আপ, এনসিপি, আরজেডি, জেডিইউ, উদ্ভব থাকরের শিবসেনা, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, সিপিএম, সিপিআই-এর মত বামপন্থী দলগুলিও অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, যেখানে সংসদ ভবনের মধ্যেই গণতন্ত্র ভু-লুণ্ঠিত, সেখানে নতুন ভবনের কোনও গুরুত্ব নেই।” সবমিলিয়ে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী শক্তি ফের একছাতার তলায়।
