Tuesday, August 26, 2025

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মভূমি সোনারপুর! বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বার বার এমনই দাবি করে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধি হয়ে তাঁর এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

ঘটনা ঠিক কী? গতকাল, রবিবার সোনারপুরের ঢালাই ব্রিজ থেকে রাজপুর হয়ে সোনারপুর স্টেশন পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করেন দলবদলুর বিজেপি নেতা শুভেন্দু। একটি পথসভাও করেন তিনি। সেখানে তৃণমূলের দুই মহিলা বিধায়ক ফেরদৌসি বেগম ও লাভলি মৈত্রকে নিয়ে কুৎসা করেন। সেই সঙ্গে দাবি করেন, “‘সোনারপুর হলো নেতাজির জন্মস্থান। এটি নেতাজির পুণ্যভূমি। আর সেই কারণেই মানুষ সোনারপুরকে শ্রদ্ধা করে। অথচ এখন সোনারপুরের বদনাম করছে তৃণমূল।”

শুভেন্দু মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময়েই নীচে বিজেপির কর্মীদের একাংশের মধ্যে ফিসফাস শুরু হয়ে যায়। কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মীকে বলতেও শোনা যায়, সোনারপুরে নেতাজির জন্ম নয়, তাঁর জন্মস্থান ওডিশার কটকে। সোনারপুরের সুভাষগ্রামের কাছে কোদালিয়ায় সুভাষচন্দ্রের পৈতৃক বাড়ি আছে। যদিও তারপরেও একাধিকবার সোনারপুরকেই নেতাজির জন্মস্থান বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু।

এমন ঘটনার পর শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “সোনারপুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বারকতক বলল নেতাজির জন্ম সোনারপুরে। অপূর্ব। মূর্খ এটাও জানে না নেতাজির জন্ম কটকে। সুভাষগ্রামে তাঁদের একটি পারিবারিক বাড়ি ছিল। বাংলার নেতা সাজবে, আর নেতাজির জন্মস্থান জানবে না, এসব ছাগল দিয়ে লাঙল চাষ হয় নাকি? মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া নীরব কেন?”

 

Related articles

পরকীয়ার পরিণতি,কর্নাটকে হোটেলে প্রেমিকার মুখে বোমা ভরে খুন!

কর্নাটকের মাইসুরুর কাছে একটি গ্রামে বিবাহিত মহিলার মুখে বিস্ফোরক পাউডার ভরে খুন করল প্রেমিক।অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কর্নাটক...

নর্তকী থেকে প্রৌঢ়া, একদিনে তিন ‘মৃত্যু’ আনন্দপুরে

একইদিনে তিন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আনন্দপুর থানা এলাকায়। তিনটি দেহের পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের...

দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। যার প্রভাব ওড়িশা ও বাংলার...

অনেক প্রেরণা তাঁরই: জন্মদিবসে মাদার টেরেসাকে স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল...
Exit mobile version