“অভিষেককে দেখতে জনজোয়ার, তাই নিরাপত্তা, আপনাকে কেউ দেখে না”, শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের

“অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন, তাই নিরাপত্তা পায়। আপনাকে কেউ দেখতে আসেনা।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষের পাল্টা দিলেন কুণাল ঘোষ।

তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েকে বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল যেখানে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে সেখানে একজনের নিরাপত্তার জন্য কেন এত বিশাল পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করা হচ্ছে? এবার বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, “দেখবি আর জ্বলবি লুচির মতো ফুলবি।”

এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিষেকের নিজের একটা নিরাপত্তা আছে। ন্যায্য কারণে নিরাপত্তা পান। তাঁকে দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছে। ফলে পুলিশের এটা আইন শৃঙ্খলার মধ্যেই পড়ে যে কোনও এলাকায় অতিরিক্ত মানুষের ভিড় হচ্ছে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া। শুভেন্দু অধিকারী যদি বলে থাকেন যে একজন মানুষের জন্য এত নিরাপত্তা, সেক্ষেত্রে তাঁকে বুঝতে হবে যে একজন মানুষকে দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাচ্ছে, আপনাকে দেখতে যায় না।” শুভেন্দুর “থানা ফাঁকা” প্রশ্নের জবাবে কুণাল বলেন, ‘থানা ফাকা মানেটা কী? থানায় থানার পুলিশ রয়েছে। যেদিন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকী শুভেন্দু অধিকারীও কোথায় যান সেখানে কি থানার পুলিশ থাকে না? কোথাও কোনও বড় ইভেন্ট হলে পুলিশ একটু বেশি থাকে। সেটা শুভেন্দুর জানা উচিত। একের পর এক সিবিআই-ইডির অফিসাররা আসছেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে কাদের টাকায়?২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পেগাসাস কিনেছিল বিজেপি। ফোন ট্যাপ করে বিরোধী নেতাদের ফোনে আঁড়ি পাততো, তার খরচ কে দিত?”

আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে শুভেন্দুকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “একটু মণিপুরের দিকে তাকান। মণিপুরে কী হচ্ছে? কারা সরকার চালাচ্ছে? ডাবল ইঞ্জিনের কী অবস্থা? আসানসোল কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, পরিবারগুলির বাড়িতে পর্যন্ত যায়নি এই শুভেন্দু। রামনবমীতে বন্দুক হাতে সুমিত সাউকে মুঙ্গের থেকে ধরতে হয়েছে। বেপরোয়া গতির কনভয় এক যুবককে পিষে দিয়ে চলে গেল। তার পরিবারের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে যায়নি। আবার আইনের কথা বলছে শুভেন্দু।”

Previous articleআন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়াল আইওসি, বিনেশ-সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ
Next articleমাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতার থেকেও গভীর গর্ত খুঁড়ছে চিন! উদ্দেশ্য কী!