গরমে বিপ.র্যস্ত বঙ্গজীবনে লোডশেডিংয়ের আত.ঙ্ক!

মহানগরী (Kolkata) থেকে শহরতলী সর্বত্রই বিদ্যুৎ বিভ্রা.টের (Power Issue) লম্বা ইনিংস শুরু হয়েছে। নাজেহাল দশা দক্ষিণ বঙ্গবাসীর।

সকাল হোক কিংবা রাত , মাথার উপরে রোদ থাকুক বা চাঁদের আলো – বঙ্গ জীবনের স্বস্তি যে অনেক আগেই চলে গেছে সে কথা স্পষ্ট। তাপপ্রবাহের কষ্ট কাটিয়ে ওঠার মতো কৃপা বরুণদেবও করছেন না। এর মাঝেই মহানগরী (Kolkata) থেকে শহরতলী সর্বত্রই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের (Power supply Issue) লম্বা ইনিংস শুরু হয়েছে। নাজেহাল দশা দক্ষিণ বঙ্গবাসীর।

গত কয়েকদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) লোডশেডিংয়ের সমস্যা জানিয়ে একের পর এক পোস্ট করছেন সাধারণ মানুষ। আঙুল উঠছে সিইএসসির (CESC) পরিষেবার দিকে। বেলঘরিয়া থেকে বালিগঞ্জ, টালা থেকে টালিগঞ্জ, বহুতল থেকে বস্তি সর্বত্রই লোডশেডিংয়ের থাবা। কখনও দু’ঘণ্টা কখনও ছয় সাত ঘন্টা ধরে আলো পাখা ছাড়াই সমস্যায় কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দিনের বেলা তাপপ্রবাহ সহ্য করে বাড়ি ফিরে রাতে শান্তির ঘুম হচ্ছে না। কারণ কারেন্ট অফ। হাওয়া অফিস (Weather Department) বলছে এখন বৃষ্টি হবে না। অন্যদিকে লাগাতার বিদ্যুৎবিভ্রাট (Power supply issue)। সব মিলিয়ে একেবারে নাজেহাল দশা শহরবাসীর। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? সিইএসসি কর্তৃপক্ষ এটাকে ‘লোডশেডিং’ বলতে নারাজ। তাঁদের দাবি, সংস্থার কাছে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই, যতটা চাহিদা তা পূরণ করার ক্ষমতাও রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা নিয়ম না মানার কারণে সমস্যা বাড়ছে।

CESC বলছেন মানুষ যেভাবে এসি (AC) ব্যবহার করছে এবং বিদ্যুৎ সংস্থাকে না জানিয়েই বাড়িতে এসি লাগিয়ে নিচ্ছেন এতে ওভারলোড হয়ে যাচ্ছে। মানে কোনও এলাকায় বিদ্যুতের যতটা পরিমাণ বন্টন ঠিক করা রয়েছে তার চেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে । আর তাতেই এলাকায় এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে ৪৫ হাজারের মতো এসি লাগানোর আবেদন জমা পড়েছে CESC তে। আর এই সময়ে এসি বিক্রি হয়েছে দেড় লক্ষের উপরে। এর থেকেই স্পষ্ট যে মানুষ অনিয়ম করে নিজের আরামের ব্যবস্থা করতে গিয়ে আসলে বিপদকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।যখনই নির্ধারিত লোডের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে যাবে তখন নিজে থেকেই ‘ফিউজ় ট্রিপ’ হয়ে যাবে। ফলে এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা সর্বত্রই একই সমস্যা। রাজ্যবিদ্যুৎ পর্ষদের তরফ থেকেও নিয়ম মেনে এসি লাগানোর কথা বারবার বলা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ২০২২ সালে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সরবরাহ ছিল মে মাসের একটি দিনে। সরবরাহ করা হয়েছিল ২,৩৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর চলতি বছরে সর্বোচ্চ সরবরাহ হয় গত ১৮ এপ্রিল ২,৫০৩ মেগাওয়াট। গরম আরো বাড়বে সুতরাং এই পরিমাণটা যে কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা ভেবে উঠতে পারছেন না বিদ্যুৎ অফিসের কর্তারা। চাহিদার সঙ্গে যোগান বেড়েছে কিন্তু যদি অনৈতিক কাজকর্ম এভাবে বাড়ে তাহলে কোনমতেই বিদ্যুৎ পরিষেবার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়, বলেই মনে করছে CESC।

 

Previous articleভোট শেষ হলে তবেই যাব: ইডির তলবের পর বার্তা অভিষেকের
Next article‘শুধু মায়ের নয়, ছেলের ওপর ধাওয়ানেরও অধিকার আছে’, জানাল আদালত