জিএসটি নিয়ে অনিয়ম রুখতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, ৩৭ হাজার ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট বাতিল

ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বাতিল করার মত বড় পদক্ষেপ এখনও নিতে পারেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেখানে পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি নিয়ে অনিয়ম রুখতে রাজ্যের অর্থ দফতর গত বছর থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে। গত আর্থিক বছরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার ভুয়ো করদাতাকে চিহ্নিত করে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। বিগত ১৬ মাসেই এই পদক্ষেপ করে দেখিয়েছেন রাজ্য সরকার।চলতি আর্থিক বছরের প্রথম দু’মাসেও নতুন করে প্রায় সাড়ে চার হাজার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে বলে অর্থ দফতর সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন:রাজ্যে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ: পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা বগটুইয়ের মিহিলালের আত্মীয়দের

GST আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার পরিমাণ। কেন্দ্রেরই তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই সংক্রান্ত জালিয়াতির পরিমাণ ছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত আর্থিক বছরে সেই অঙ্কটাই ১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।বর্তমানে এরাজ্যে রয়েছে প্রায় ছ’লক্ষ সংস্থার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। যে সংস্থাগুলির জিএসটি সংক্রান্ত হিসেবে গোলমালের আভাস মিলেছে, তাদের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভুয়ো ইনভয়েস বা চালান তৈরি করে জিএসটি জালিয়াতি আটকাতেই এই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

কীভাবে চলছে অভিযান? রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ বাধ্যতামূলক। এব্যাপারে সামান্যতম সন্দেহ হলে সেখানে পৌঁছচ্ছেন দফতরের কর্তারা। যেখানে ভুয়ো সংস্থা খুলে, নিরীহ ব্যক্তিদের নাম ভাঁড়িয়ে ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছে এবং ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি হয়েছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভুয়ো ঠিকানায় জিএসটি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে—এইটুকু অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন আধিকারিকরা।
দেশের গড় জিএসটি আদায়ের নিরিখে এগিয়ে থাকার নেপথ্যে প্রতারণার চক্র ফাঁস করাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজ্যের অর্থদপ্তরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, আমরা গত তিন বছর দেশের গড় জিএসটি আদায়ের হারের তুলনায় এগিয়ে আছি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিএসটি আদায় বৃদ্ধির হার ছিল ২১ শতাংশ। তার আগের বছরে ২৩ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দু’মাসে বৃদ্ধির হার ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রতারণা রুখতে না পারলে এই সাফল্য সম্ভব হতো না।