বালাসোরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে CBI। ঠিক কী কারণে ঘটল শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়? তদন্তে নেমে ১০ দিনের মাথায় তিন রেলকর্মীকে আটক করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাহানাগা বাজারের স্টেশন মাস্টার, রেলের (Rail) এক টেকনিশিয়ান ও আরও এক কর্মীকে আটক করেছে সিবিআই। কিন্তু তাঁদের কোথায় রাখা হয়েছে, তা জানানো হচ্ছে না। রেলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কী মিলল, তাও জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

২ জুন ওড়িশার বালেশ্বর (Balasor) ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা ঘটে। বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হামসফর এক্সপ্রেসের যাত্রীরাও আহত হন। প্রাণ হারান ৩০০-র বেশি মানুষ। আহত ১০০০-এর বেশি। কারণ খুঁজতে নেমে সিবিআই। যদিও অতীত বলছে, সিবিআইয়ের হাতে থাকা এই ধরনের বেশিরভাগ তদন্তের নিষ্পত্তি করা যায়নি। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পরের দিন থেকেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিবিআই ও ফরেন্সিক টিম। দিল্লি (Delhi) সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম জোনের জয়েন্ট ডিরেক্টর বিপ্লব চৌধুরীও বাহানাগা স্টেশনে (Station) নিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।

সিবিআই যে যে বিষয় দেখছে-
• কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অন্তর্ঘাত হয়েছিল কি না
• প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি ছিল কি না
• কারও গাফিলতি ছিল কি না

প্রাথমিক তদন্তের পরে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি-এর রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে সিবিআই। কারণ, সেই রিপোর্ট ও সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্টে কোথায় কোথায় গড়মিল সেটা যাচাই করা হবে। পাশাপাশি, ঘটনার দিন ডিউটিতে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি ট্রেনের চালক, গার্ড, স্টাফদেরও বয়ান রেকর্ড করা হবে। আর সেই প্রক্রিয়াতেই বাহানাগা বাজারের স্টেশন মাস্টার, রেলের এক টেকনিশিয়ান ও আরও এক কর্মীকে আটক করেছে সিবিআই। তবে, তাঁদের কোথায় রাখা হয়েছে, কী জানা গেল তাঁদের থেকে- সে বিষয়ে মুখে কুলুপ তদন্তকারী সংস্থার।
