স্ত্রীর অভিযোগ দায়েরের পরই বেপাত্তা মুকুটমণি!এড়িয়ে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি

বধূ নির্যাতনের পাশাপাশি জোর করে টাকা আদায়, বিশ্বাসভঙ্গ, আটকে রাখা ও হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে।

বিয়ের শংসাপত্রের তথ্য বলছে বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী রেজিস্ট্রি করেছেন গত ২৮ মে।তার স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী তিলজলা থানায় বধূ নির্যাতন-সহ নানান অভিযোগ করেছেন গত ৭ জুন। বিয়ের মাত্র ১১ দিনের মাথাতেই অভিযুক্ত হয়েছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক।কিন্তু তার পর থেকেই বেপাত্তা মুকুটমণি! স্ত্রী স্বস্তিকা মোট ৬টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মুকুটমণির বিরুদ্ধে। বধূ নির্যাতনের পাশাপাশি জোর করে টাকা আদায়, বিশ্বাসভঙ্গ, আটকে রাখা ও হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে।

বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ ‘গুরুত্ব’ দিয়েই দেখছে। কিন্তু তারাও মুকুটমণির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও জানিয়েছেন, ফোন বেজেই যাচ্ছে মুকুটমণির।আইনের ছাত্রী স্বস্তিকার সঙ্গে মুকুটমণির সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। গত ১৩ মার্চ আইনি বিবাহের জন্য আবেদন করেন তাঁরা। এর পরে বিবাহও হয়। দু’জনের পরিবারের লোকেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিয়েতে বাইরের কেউ আমন্ত্রিত ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।

ঠিক কী অভিযোগ করেছেন স্বস্তিকা ? তার অভিযোগ, বিয়ের পর দিন থেকেই নাকি মুকুটমণি সহমতের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ চাইতে শুরু করেন! শুধু তা-ই নয়, বড় অঙ্কের টাকার দাবিও করেন।বঙ্গ বিজেপির নেতারাও বিষয়টি এড়িয়ে যআওয়ার চেষ্টা করছেন।সকলেই বলছেন, বিষয়টি ‘পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত’।

শিক্ষিত এবং বিশিষ্টজন হিসাবে বিজেপিতে বরাবরই গুরুত্ব পেয়েছেন মুকুটমণি।মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই তাঁর মুকুটে গেরুয়া শিবিরের অনেক পালক। মাজদিয়া রেলবাজার হাইস্কুলের ছাত্র মুকুটমণি কলকাতার এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ২০১৪ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। পরে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমডি পড়া শুরু করলেও তা শেষ করতে পারেননি।বরং তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে চলে আসেন। চুঁচুড়ার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল, এম আর বাঙ্গুর এবং এসএসকেএম হাসপাতালেও চিকিৎসক হিসাবে চাকরি করেছেন।

একই সঙ্গে বিজেপি এবং মতুয়া মহাসঙ্ঘের সংগঠন সামলান।সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মুকুটমণিকে রানাঘাট আসনে প্রার্থীও করতে পারে বিজেপি। অন্য দিকে, বিধানসভাতেও বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরকতদিন তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারবেন তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা তলছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।