সহযোগিতা নাকি সংঘাত? আমেরিকাকে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দিল চিন

বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার পথে হাঁটবে, নাকি শত্রুতার সংঘাত? বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আমেরিকার(America) হাতেই দিয়ে দিল চিন। সোমবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে চিনা(China) বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর (Wang Yi) তিন ঘন্টার বৈঠকে এটাই ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রী জানান, দুই দেশের সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই পদক্ষেপ করা উচিত দুই তরফের।

আসলে গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকার আকাশে গুপ্তচর বেলুন পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই দু’দেশেরর সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে। চিন সফর বাতিল করে দেন ব্লিঙ্কেন। তবে কয়েকদিন আগেই দুই দেশের সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক করার ডাক দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপরেই দু’দিনের চিন সফরে পৌঁছেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। এদিনের বৈঠক শেষে চিনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিন সফরে এসেছেন মার্কিন বিদেশসচিব। তবে চিনের সঙ্গে সহযোগিতা না সংঘাত, কোন পথে এগোবে আমেরিকা, সেটা বেছে নিতে হবে। বাকযুদ্ধ না শান্তিপূর্ণ আলোচনা, একটা পথ নিতে হবে আমেরিকাকে। আমরা চাই আমেরিকা-চিন দ্বিপাক্ষিক আবারও স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে যাক, সমস্যার সমাধানে সঠিক পথ খুঁজে বের করতে হবে দুই দেশকে।” যদিও আমেরিকার তরফে এই বৈঠক নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে আমেরিকা। এই সখ্যের চাপে পড়েই চিনও চাইবে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা করতে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।