হিংসার আগুনে দগ্ধ উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। নিজভূমে ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। অথচ মোদি আছেন মোদিতেই। ভয়াবহ হিংসা থামাতে শান্তির বার্তা দেওয়া তো দূর ১০২ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে মোদিকে দেখা গেল এমার্জেন্সির অতীত তুলে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাতে। তবে মোদি নিরব হলেও আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে বিবৃতি জারি করে মনিপুর হিংসা বন্ধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রকে।

সাধারণত প্রতিমাসের শেষ রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ কারণবশত এবার এক সপ্তাহ আগেই আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। সেখানেই ফের ইমার্জেন্সির অতীত তুলে ধরেন মোদি। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেশে জারি করা জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ভারত গণতন্ত্রের মাতৃভূমি। আমরা কিছুতেই ২৫ জুনের কথা ভুলব না। ওই দিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসে তা এক কালো অধ্যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই জরুরি অবস্থার প্রতিবাদ করেছিল। গণতন্ত্রের সমর্থকদের উপর যে অত্যাচার হয়েছিল তা এখন মনকে কাঁদিয়ে তোলে। আজ আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। নবীন প্রজন্মকে গণতন্ত্রের মাহাত্ম্য বোঝাচ্ছে এই সময়কাল।

একদিকে যখন দেশে আগুন জ্বলছে সে প্রসঙ্গে ন্যূনতম শান্তির বার্তাটুকু না দিয়ে মোদির এই ঘৃণ্য রাজনীতির প্রতিবাদে সরব হয় কংগ্রেস। এপ্রসঙ্গে টুইটারে জয়রাম রমেশ লেখেন, “মোদির আরও একটি ‘মন কি বাত’ হয়ে গেল। এখনও তিনি শান্তির আহ্বানটুকুও জানাতে পারলেন না। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষমতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ালেন। মণিপুরে মানবিক বিপর্যয়ের কী হবে? আজ আরএসএস কিন্তু তার বিবৃতিতে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে। জয়রামের প্রশ্ন, “আরএসএসের বিখ্যাত প্রাক্তন প্রচারক (মোদি), যিনি কেন্দ্রের ও রাজ্যের প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁর কী হল? তিনি কি শান্তির আহ্বান জানানোর দায়িত্ব আরএসএসের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন? উনি কি প্রধানমন্ত্রী নন, শুধুই প্রচারমন্ত্রী?”
