লোকে লোকারণ্য পুরীর মন্দির (Puri Temple) চত্বর, সকাল থেকে তীব্র রোদ মাথায় করে ব্যারিকেডের এপাশে দাঁড়িয়ে থাকা। উদ্দেশ্য একটাই বলভদ্র, সুভদ্রা আর জগন্নাথকে (Jagannath) ক্ষণিকের জন্য হলেও যদি দেখতে পাওয়া যায়। আজ আর সমুদ্র স্নানে মন ছিল না পুরীতে (Puri) যাওয়া পর্যটকদের। সবার মুখে একটাই কথা, “জয় জগন্নাথ”। শুধু বাংলা নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন পুরীতে। সঙ্গে রয়েছেন বিদেশী পর্যটকরাও। সমুদ্র-শহর আক্ষরিক অর্থেই জনসমুদ্র।

আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যেই সকাল থেকে রীতি মেনে জগন্নাথের পুজো শুরু পুরীর মন্দিরে। রথযাত্রা উৎসবের আগে পুরীর গ্র্যান্ড রোডে (Grand Road) আলপনা সজ্জা করা হয়, যা ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। গতকাল নবযৌবনের পর আজ জগন্নাথের মাসির বাড়ি যাত্রা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা সৈকত শহর ৷ মন্দির চত্বরে নজরদারি চালাতে অসংখ্য সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে সূচনা। গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হয়। এরপর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিগ্রহকে তোলা হয় রথে। জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ আর সুভদ্রার রথের নাম পদ্মধ্বজ, যাকে দর্পদলনও বলা হয়। পুরীর রথ মানে শুধু একটা ধর্মীয় পার্বণ নয় এটা ভক্তদের কাছে একটা আবেগ। দুপুরে খিচুড়ি ভোগ খেয়ে বিকেল ৪টে নাগাদ মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথ।