Sunday, August 24, 2025

থামছে না অ.শান্তি! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠকের ডাক শাহের, ক.টাক্ষ কংগ্রেসের

Date:

মণিপুরে (Manipur) শুরু হওয়া হিংসার রেশ এখনও কাটেনি। এখনও ধারাবাহিকভাবে অশান্ত হয়ে উঠছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্য। সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। আর এমন আবহে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইতিমধ্যেই মণিপুরে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একাধিক মহিলা ও শিশুরাও রয়েছেন। এই আবহে অবশেষে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন সাউথ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসেই ৩টে নাগাদ বৈঠকটি হবে।

মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, মূলত তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। যদিও বৈঠক নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) দাবি, ‘বড্ড দেরি হয়ে গেল।’ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দাবি করেন, সোনিয়া গান্ধী মণিপুর নিয়ে সরব হওয়ার পরই ঘুম ভেঙেছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এর আগে বিরোধীরা কেন্দ্রকে মণিপুর নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। এদিকে মণিপুরেরও ৯ জন বিধায়ক মোদিকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছিলেন। এই আবহে অবশেষে বৈঠক ডাকলেন শাহ। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে টুইটে জানানো হয়, ২৪ জুন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। এদিকে মণিপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)।

গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।

ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই আবহে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (All Tribal Students Union) একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই আবহে গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতৈদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও।

 

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version