ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলতে দেখবেন, ভাবেন নি হুপার

টি-টোয়েন্টি চালুর পর ক্রিকেটের ২০ ওভারের সংস্করণেও দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা।গোটা ক্রিকেট বিশ্ব সমীহ করত ক্যারিবিয়ানদের।

0
1

এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ এই ওয়েস্ট ইন্ডিজই প্রথম দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে ক্যারিবিয়ানরা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের প্রায় অজেয় দলে পরিণত করেছিল। এরপর বড় সাফল্য না পেলেও একটা মান ধরে রেখেছিল তারা। টি-টোয়েন্টি চালুর পর ক্রিকেটের ২০ ওভারের সংস্করণেও দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা।গোটা ক্রিকেট বিশ্ব সমীহ করত ক্যারিবিয়ানদের।

সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকেই যখন টানা দুবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে হয়, সেটা মেনে নেওয়া তাদের সোনালি যুগের ক্রিকেটারদের জন্য বেশ কঠিনই। বর্তমানে দলের সহকারী কোচ কার্ল হুপার তো বলেই দিয়েছেন, তিনি বেঁচে থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে যেতে বাছাই পর্ব খেলছে, এটা দেখতে হবে কখনওই ভাবিনি।

১৯৮৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন কার্ল হুপার। সেই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন ১০২টি টেস্ট ও ২২৭টি ওয়ানডে। এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তিনি ক্যারিবীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন। হুপার মনে করেন, ক্যারিবীয় ক্রিকেট অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ তো তাদের ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন আফগানিস্তানও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে পেছনে ফেলেছে।

এক সাক্ষাৎকারে হুপারের কণ্ঠে ঝরে পড়েছে আক্ষেপ, ‘আমি কখনওই ভাবিনি বেঁচে থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে এই অবস্থায় দেখব। ক্রিকেটের একটা বড় টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোয়ালিফাই করতে পারছে না, এর চেয়ে খারাপ অবস্থা আর হতে পারে না। এটা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার।’

হুপারের শঙ্কা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারলে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের অবস্থা আরও খারাপ হবে, ‘আমরা যে জায়গায় আছি, এর চেয়েও নিচে নামার আশঙ্কা আছে। আমরা যদি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারি, সেটা হবে আরও খারাপ অবস্থা। আমরা অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছি আগেভাগে। এবার জিম্বাবোয়েতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলছি।’হুপার মনে করেন, নিজেদের ক্রিকেটকে ঠিকঠাক এগিয়ে নিতে না পারার খেসারত দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনও প্রতিপক্ষকেই ছোট করে দেখি না। কিন্তু আমরা এখানে যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছি। আফগানিস্তানও আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ তো অনেক আগেই আমাদের পেছনে ফেলেছে। এটা খুবই কষ্ট দেয় আমাকে। এর চেয়ে নিচে নামা কি সম্ভব! হ্যাঁ, সম্ভব। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে যদি আসল কাজটা ঠিকঠাক না করা যায়, তাহলে পিছিয়ে পড়তে হয়। আমরা এখন যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে লড়াইয়ে নামব।’

গত অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এরপর ক্যারিবীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেন কোচ ফিল সিমন্স। এরপর ড্যারেন স্যামি ও হুপারদের কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দায়িত্ব।সময়ই বলবে আদৌ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট তাদের হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরে পাবে কিনা।