রাজ্য জুড়ে জোরকদমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল নেতৃত্ব,ব্যাপক সাড়া

রাজ্য জুড়ে জোরকদমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত সপ্তাহে কালীঘাটে তৃণমূলের শীর্ষ বৈঠকে প্রচার কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকেই জোরকদমে প্রচারে নেমেছে শাসক দল।

প্রচার পর্বকে মোট দুভাগে ভাগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম ভাগে রাজ্যের ১৩ টি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগে বাদ বাকি জেলাগুলোতে প্রচার চালানো হবে।তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, মোট ৫৮ জন নেতা-নেত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে পুরো প্রচার পর্ব সামলানোর জন্য। সেক্ষেত্রে, গ্রামীণ স্তরে অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি এবং জেলা স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে পুরো প্রচার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।২২ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত প্রচারের প্রথম অংশ সংগঠিত হবে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনা, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারে তদারকি করা এবং পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিষয়টিকেও তুলে ধরা হবে মানুষের সামনে। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, একশো দিনের কাজ, আবাস সহ গ্রামীণ স্তরের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে মানুষ অভিযোগ করলে সেটিকেও গুরুত্ব দিয়ে শোনার নির্দেশ রয়েছে দলের তরফে।
এরই পাশাপাশি, গ্রামে গিয়ে ছোট পথসভা, চায়ের দোকানে আড্ডা, বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ সমস্ত রকম প্রচারের কৌশল নেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মাধ্যমেও প্রচারের জন্য বিশেষ টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এমনকি স্থানীয় বিশেষ ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় স্থান, ঐতিহাসিক স্থানগুলিতেও যাবেন প্রচারকারীরা।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অরূপ বিশ্বাস যাবেন জলপাইগুড়ি, মলয় ঘটক, স্নেহাশিস চক্রবর্তীরা যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, ফিরহাদ হাকিম থাকবেন মুর্শিদাবাদ, মালদা জেলার প্রচারের দায়িত্বে। কুণাল ঘোষ আছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রচার শুরু হয়েছে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে। গ্রামের ভোটে, মহানগর পাশে- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই শুরু হয়েছে প্রচার।

প্রথম দিনের প্রচারে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, বাবুল সুপ্রিয়, সুজিত বোস, পার্থ ভৌমিক, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, শান্তনু সেন, কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ একাধিক মুখ।
হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে যে সব লক্ষ লক্ষ নিত্যযাত্রী যাতায়াত করেন তারা অধিকাংশ পঞ্চায়েতের ভোটার। তাই এই দুটি স্টেশনে প্রচারে জোর দিয়েছে তৃণমূল । সকালে সভা আর জনসংযোগ অভিযান হবে৷ বিকেলে হবে জনসভা। গ্রামের ভোট, কিন্তু পাশে থাকবে মহানগরী।

পঞ্চায়েত ভোটে হাওড়া জেলায় দুই কেন্দ্রে দু’জন তরুণ-তরুণীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটযুদ্ধে নজর কেড়েছেন ডোমজুড় এবং বাগনানের দুই তরুণতুর্কি।

ছাত্র প্রতিনিধি থেকে এবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে পঞ্চায়েত ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন সায়ন সর্দার। হাওড়া সদরের তিনিই কনিষ্ঠতম প্রার্থী। কলকাতার আশুতোষ কলেজে বাংলা অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সায়নকে ডোমজুড়ের সলপ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৫ নম্বর বুথের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ২২ বছরের কলেজ পড়ুয়া
সায়ন বলছেন, পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখেছি আমাদের মতো তফসিলি ছাত্রছাত্রীদের জন্য রাজ্য সরকারের কত সুবিধাজনক প্রকল্প রয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, বিভিন্ন খাতে রাজ্যকে বঞ্চনার কথা—সবই তুলে ধরছি মানুষের কাছে।
পঞ্চায়েতের ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ভূগোলে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া ২৩ বছরের তরুণী ঝিন্দন প্রধানও। বাগনানের খালোড় অঞ্চলের ৯৫ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তিনি। সরোজিনী নাইডু মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক পাশের পর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ভূগোলে এমএসসি করেছেন।বিএড পাঠরতা ঝিন্দন বলছেন, কলেজ জীবন থেকেই আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি-বাড়ি ভোট প্রচারে ফাঁকে ঝিন্দন বলছেন, জয়ের ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাব।
তেমনই এবারও লড়াইয়ের ময়দানে ৭২ বছর বয়সী মোল্লা সাহেব। প্রবীণতম তৃনমূলের এই প্রার্থী এখন নিজে সাইকেল চালিয়ে প্রচারে চষে ফেলছেন এলাকা। এহেন মোল্লা সাহেবের বিরুদ্ধে লড়াই যে রীতিমত কঠিন তা মানছেন বিরোধী প্রার্থীও। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁচুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদুলাড়া গ্রাম মুসলিম প্রধান।১৯৯৮ সালে মোতালেব শুধু নিজে জিতেছেন তাই নয় আঁচুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃনমূলের বোর্ড গঠন করেন। এরপর থেকে ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮ সাল পরপর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। ২০২৩ সালে ফের ৭২ বছর বয়সী মোল্লা সাহেবকে প্রবীনতম প্রার্থী হিসাবে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। নিজের সাইকেলে চড়ে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে ঘুরে প্রচার সারছেন আব্দুল মোতালেব মোল্লা ওরফে মোল্লা সাহেব। মোল্লা সাহেবের দাবি, মানুষের বিপদে আপদে তিনি সারা বছর পাশে থাকেন। তাই মানুষ তাঁকে যথেষ্ট ভালোবাসে। তাছাড়া এলাকার যথেষ্ট উন্নয়নও করেছেন তিনি। আর তার নিরিখে এবারও তিনি ভোটে জিতবেন।

প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি মৌন ব্রত পালন করেন। কারও সঙ্গে কথা বলেন না। ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলে তার অন্যথা হতে দিলেন না। ভোট ভিক্ষা করতে বেরিয়ে মৌনই রইলেন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী তরুণ সাহা। হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে ভোট চাইলেন তিনি। নবদ্বীপ বিধানসভার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৩৫ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত প্রার্থীর এহেন প্রচারে কিছুটা অবাক গ্রামবাসীরা।
হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা,’বৃহস্পতিবার মৌনব্রত নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছি। আপনাদের আশীর্বাদই একমাত্র কাম্য। জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দিন।’ ভোটরদের সেই প্ল্যাকার্ড দেখিয়েই ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। আর তাঁর প্রচারসঙ্গী যাঁরা, তাঁরা বোঝাচ্ছেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা। কেন্দ্রের বঞ্চনা।
শুক্রবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দুটি কর্মী সভা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।প্রথম সভাটি ছিল কাঁথির সাতমাইলে। পরের সভাটি হয় উপকূলবর্তী এলাকার নয়াপুটে।
এদিন কুণাল বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে ভোট দিন। দুটো সরকার, একটা কেন্দ্রের সরকার, যাঁরা প্রতিদিনই খাদ্যশস্য থেকে পেট্রোল, ডিজেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে চলেছে। উল্টোদিকে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লক্ষ্ণীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই বাতিল বিজেপির সঙ্গেই এখন জোট বেধেছে কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ। তাঁরা এখন তৃণমূলকে হারাতে জোট বেধে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে। কিন্তু মানুষের আশীর্বাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল ফের জয়ী হবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলেও তৃণমূলের তাতে কিছু যায় আসে না। বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আট দফায় ভোট হয়েছিল। কী হয়েছিল, সবাই জানে। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কুণাল বলেন, প্রতিটি ভোটার পিছু একটা করে জওয়ান দিক, তারপরেও বিপুল ভোটে তৃণমূল জিতবে।
রাজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি এই জেলায় রাজ্য সরকার যে সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করেছে তাঁর সুফলগুলিও তিনি তুলে ধরেন।
এদিন মালদহে প্রথম দিনের প্রচার শুরু হল সাংসদ মৌসম নুরের হাত ধরে। মিলল বিপুল সাড়া। মৌসম কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করলেন। জনসভা থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। গোলাপগঞ্জ স্কুল ময়দানে জনসভা হয়। ছিলেন রাজ্য তৃণমূল সহসভাপতি ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, উজ্জল হালদার, জিয়াউর রহমান প্রমুখ। জনসভার পর প্রার্থীদের নিয়ে গ্রামে ঢুকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারেন। মৌসম বলেন, তৃণমূল সংঘবদ্ধভাবে প্রার্থী নির্বাচন হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। মানুষের পঞ্চায়েত তৈরির জন্যই এই উদ্যোগ।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন জেলার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ধূপগুড়ি থেকে তিনি প্রচারাভিযান শুরু করেন। গাদং ১নং অঞ্চলে সকালে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রচার কাজ শুরু করেন। এরপর ওই এলাকায় ব্যান্ডপার্টি নিয়ে উৎসবের মেজাজে মিছিল করে প্রচার করেন রাজীববাবু। গোলাম মুন্সী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল এরপর কাজির হাট, চারের হাট হয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার শেষ হয়। গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের কাজিপাড়া সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা নদী-ভাঙন কবলিত। দ্রুত এই ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রচার মিছিলেই কথা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাটাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত চিলাখানায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এরপরই গ্রামবাসীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও কথা বলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে এমনটাই বললেন সাংসদ শান্তনু সেন। এদিন বিকেলে ইটাহার অঞ্চলে দলীয় প্রার্থী ও কর্মীদের নিয়ে ইটাহার চৌরাস্তা মোড় এলাকায় সভা হয়। ভদ্রশীলা রানিপুর গ্রামে দুর্গা মন্দিরে প্রণাম করে দলীয় কর্মীদের নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীদের হয় প্রচার শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি জেলার দলীয় নেতৃত্বর সাথে বৈঠক করেন তিনি।
হেমতাবাদ বিধানসভার প্রত্যেক বুথে ভোট প্রচার করলেন হেমতাবাদ বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন। রায়গঞ্জ ব্লক ২-এর ৪ নং বিন্দোল অঞ্চলের আগা বহর, অন্তরা, ৫ নং শেরপুর অঞ্চলের সুবর্ণপুর এলাকায় জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের জন্য প্রচার করেন। ছিলেন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী চৈতালী ঘোষ সাহা-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

Previous articleএখনও স্বাভাবিক নয়! রবিবার ফের বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ২১টি ট্রেন
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস