Thursday, August 28, 2025

যতীন পরাঞ্জপেকে মনে আছে? তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার ছিল ক্ষণস্থায়ী। এখন তাঁর পরিচয় ক্রিকেটার নয়, একজন সফল ব্যবসায়ী। রীতিমতো স্টাইলিশ ক্রিকেটার ছিলেন পরাঞ্জপে।  সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো দুর্দান্ত ব্যাটিং করতেন। কিন্তু তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার অত্যন্ত স্বল্পস্থায়ী ছিল। মাত্র ৪টি একদিনের ম্যাচের পর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি ক্রিকেটের মূলস্রোতে।আসলে পরাঞ্জপে ততদিনে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে রীতিমতো সফল। দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়ে ক্রিকেটে মন দেওয়া কঠিন ছিল।

১৯৭২ সালে জন্ম পরাঞ্জপের।মাস্টার ব্লাস্টার তেন্ডুলকরের মতো একই সার্কিটে খেলে বড় হয়েছেন।জানলে অবাক হবেন, তিনি সচিনকে হারিয়ে বোম্বে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ১৯৮৬-৮৭ সালের ‘জুনিয়র ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছিলেন। যতীনের রঞ্জি ট্রফি কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯১-৯২ মরসুমে।১৯৯৮ সালে তার ভারতের হয়ে অভিষেক হয়।কানাডার টরেন্টোতে সাহারা কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস আজও মনে রেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

কিন্তু দুর্ভাগ্য তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। গোড়ালিতে মারাত্মক চোট পান এই প্রতিভাবান ক্রিকেটার।এই চোট পাওয়ার পর আর কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। মিডল অর্ডার ব্যাটারটি তার প্রথম ব্যবসা শুরু করেন স্পোর্টস ওয়ান ইন্ডিয়ার সঙ্গে। কয়েক বছরের মধ্যেই  একজন ক্রিকেটার থেকে একজন পাকাপোক্ত ব্যবসায়ীতে পরিণত হযন।যখন নাইকি তাকে ইউরোপে পাঠায় ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণের জন্য, সেই সুযোগ তিনি পুরোপুরি কাজে লাগান।এই সময় তার জীবন বদলে যেতে থাকে। পরাঞ্জপে ২০১৭ সালে তার বহু কোটি টাকার ব্যবসা ‘খেলমোর’ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রাক্তন ক্রিকেটারের মুম্বাই-ভিত্তিক স্টার্টআপে ড্রিম-১১ এবং অশ্বিন দামেরার মতো বিনিয়োগকারী রয়েছেন। পরাঞ্জপে বিয়ে করেছেন বলিউড তারকা সোনালি বেন্দ্রের বোন গান্ধালিকে। তিনি যতীনের কোম্পানির সঙ্গেও ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।এই কোম্পা্নিতে তিনি একজন ক্রীড়া প্রশিক্ষক এবং একাডেমি এগ্রিগেটর হিসাবে যুক্ত। একজন ক্রিকেটার ছাড়াও যতীন বিসিসিআই নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version