Monday, August 25, 2025

১৮৫৫ সালের ৩০ জুন বাংলা ও বিহারে কয়েকটি জেলায় জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে সাঁওতালরা। যা ইতিহাসে সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল নামেই পরিচিত। প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘হুল দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। শুক্রবার, দিন স্মরণ করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লেখেন, “হুল দিবসে আজ আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহিদ সিধু ও কানু মুর্মুকে। এই দিনেই সান্তালরা ব্রিটিশ ও জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তাদের সেই লড়াইয়ের কথা আজও আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তাদের সেই লড়াই স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেয়।“

রাজ্যে ১৬৯তম হুল দিবস পালিত হচ্ছে। ১৮৫৫ সালে ৩০ জুন সিধু ও কানুর নেতৃত্বে বাংলার মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়। ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন ছিল এটিই। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ-নিপীড়ন এবং ইংরেজদের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি। ব্রিটিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সিধুর। পরে কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। সিধু-কানুকে স্মরন করতেই প্রতিবছর এই দিনে পালিত হয় হুল দিবস। আজকের দিনে তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেক লেখেন, “আজ, হুল দিবসে, আমরা সিধু এবং কানু মুর্মুর আত্মার শান্তি কামনা করি। আমি স্যালুট জানাই যারা ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ-নিপীড়ন এবং ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।” তিনি সকলকে আহ্বান করে জানিয়েছেন, “সাঁওতাল বিদ্রোহ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে, আসুন এমন একটি সমাজের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করি যা সকল প্রকার বৈষম্য মুক্ত।”

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনা সত্ত্বেও শহরাঞ্চলে আবাস যোজনা প্রকল্পে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা

Related articles

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...
Exit mobile version