Saturday, November 15, 2025

প্রয়োজনে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে থাকবেন খোদ দলনেত্রী: বার্তা অভিষেকের

Date:

বকেয়া আদায়ে বৃহত্তর ক্ষেত্রে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayet Election) পর্ব মেটার পর দেড় মাসের মধ্যে ১০ লক্ষ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে শুরু হবে তৃণমূলের এই আন্দোলন। যে আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অভিষেকের। তবে শুধু অভিষেক নয়, প্রয়োজনে সেই আন্দোলনে উপস্থিত থাকবেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বুধবার পূর্ব বর্ধমানে বৈদ্যপুরের তৃণমূলের জনসভায় উপস্থিত হয়ে এমনটাই জানালেন অভিষেক।

এদিনের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১০০ দিনের কাজের সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ওরা আটকে দিয়েছে। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার যোগ্য প্রাপকের বাড়ির তালিকা দিয়েছিল সরকার, সে টাকাও ওরা আটকে দিয়েছে। এই বিজেপি বাংলায় জিততে পারেনি বলে একমাত্র বাংলার টাকা আটকেছে। এখন টাকা আদায়ে বাংলার মানুষের কাছে ৩টে রাস্তা আছে অনুরোধ, পায়ে পড়া ও অধিকারের লড়াই। ইতিমধ্যেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্চায়েত মন্ত্রী, সাংসদদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কিন্তু কাজ হয়নি। সৌজন্যতা অনেক দেখিয়েছি। এবার হবে অধিকারের লড়াই।” একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, “১০ লক্ষ লোক দিল্লি গেলে কোনও নেতার ক্ষমতা নেই টাকা আটকায়। আপনাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার, লড়াই আমি সংগঠিত করব। অনেক সৌজন্যতার রাজনীতি হয়েছে আর নয়, এবার চোখের সামনে থেকে অধিকার ছিনিয়ে আনব। দিল্লি পুলিশ নাকি মায়েদের লাঠি দিয়ে মারবে। আমরাও দেখব দিল্লি পুলিশের কত ক্ষমতা। ওদের ডান্ডার জোর কত আমিও দেখব। লড়াই হবে ততদিন পর্যন্ত হবে যতদিন না টাকা আদায় হচ্ছে। প্রয়োজনে আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই আন্দোলনে উপস্থিত থাকবেন। বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা উত্তরপ্রদেশে রামমন্দির, মোদির ব্যক্তিগত প্রচার ও মোদির বিলাসবহুল বিমানের জন্য নয়।”

এছাড়াও লাগাতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলতে থাকা কুৎসার জবাব দিয়ে অভিষেক এদিন বলেন, “বিজেপির কাছে সব থাকলেও কিছু নেই ইডি, সিবিআই, বিচার ব্যবস্থার একাংশ, প্যারা মিলিটারি ফোর্স, সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তৃণমূলের কাছে কিছু নেই কিন্তু সব আছে কারণ মানুষ আছে। তুমি যত কুৎসা করবে তৃণমূল তত শক্তিশালী হবে। ২০১৬ সালে ২১১ আসন জিতেছিলাম আমরা। কুৎসা যত বেড়েছে তৃণমূলের আসনের সংখ্যা তত বেড়েছে। ২০২১ সালে আমরা ২১৫ টা আসন জিতলাম। ২০২৬ সালে যখন ভোট হবে আপনারা মিলিয়ে নেবেন ২৪০এর বেশি আসনে জিতে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হবে। কারণ তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রেখেছে, বাকিরা ২ মাস আগে বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যারা নিচ্ছে ভিক্ষা নিচ্ছে, আবার নির্বাচনের ১০ দিন আগে বলছে আমরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব। যেখানে ক্ষমতায় আছো সেখানে কর না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি ১ টা রাজ্যে ১০০০ টাকা করে মহিলাদের দিন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...
Exit mobile version