১৭৭ জন যাত্রী নিয়ে আটলান্টা (Atlanta) থেকে সিয়াটেলের (Seattle) উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল আলাস্কা এয়ারলাইন্সের (Alaska Airlines) একটি বিমান । ৬জন বিমানকর্মীকে মাঝ আকাশে বিমান ওড়ার সময় এক বিমানকর্মীর হাতে চিরকুট ধরিয়ে দেন ব্র্যান্ডন স্কট (Brandon Scott) নামে এক ব্যক্তি। সেখানে লেখা ছিল, “এই বিমানে বোমা রাখা আছে। আমি যা বলব সেই অনুযায়ী কাজ না হলে সবকটা বোম একসঙ্গে ফাটিয়ে দেব। তাই পাইলটের কাছে এই চিরকুট পাঠিয়ে দাও। কারণ বিমানের যাত্রীদের নিরপত্তার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর হাতেই। আমার কথা শুনলেই সকলে প্রাণে বাঁচবে।” এরপরই বিমান নামাতে বাধ্য হন চালক। ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

বুধবার আটলান্টা থেকে যাত্রা শুরু করার পরেই পাইলটের কাছে বোমা মারার হুমকি দিয়ে চিরকুট আসে। এত যাত্রী থাকায় রিস্ক নিতে চাননি পাইলট। তাই সিয়াটেলের (Seattle) বদলে স্পোকোন বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ততক্ষণে পুলিশকে জানানো হয়েগেছিল। ব্র্যান্ডনের কথা মেনেই ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বিমানটি। অবতরণের পরেই আটক করা হয় ব্র্যান্ডনকে। অবশ্য বিমানে তল্লাশি চালিয়েও কোনও বোমা উদ্ধার হয়নি। এরপর ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয় ব্র্যান্ডনকে। স্থানীয় পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, সিনালোয়া কারটেল নামে একটি গোষ্ঠীর নিশানায় ছিলেন তিনি। তাই গন্তব্যে পৌঁছলেই তাঁকে খুন করা হবে এই আশঙ্কায় প্রাণে বাঁচতেই ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছিলেন তিনি। তদন্ত চলছে, দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানা যাচ্ছে।
