কড়া নিরাপত্তায় রাত পোহালেই পঞ্চায়েতের গণনা, এজেন্টদের একগুচ্ছ নির্দেশ তৃণমূলের

আগামিকাল ভোট গণনা। ব্যালট বাক্স খোলার পর মঙ্গলবার সকালের পর থেকেই একটু একটু করে সামনে আসবে গ্রাম-বাংলার রায়। জানা যাবে রাজ্যের ৬১,৫৩৯টি বুথে মানুষের রায়।গণনা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। প্রথমে গণনা হবে ইডি (ইলেকশন ডিউটি) ভোট। এরপর প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও সব শেষে জেলা পরিষদের ভোটগণনা হবে। গোটা রাজ্যে মোট ৩৩৯টি জায়গায় গণনা হবে।

রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন রাজ্যে দশ কোটিরও বেশি মানুষ। ফলে পোলিং এজেন্টদের মতো এই দিনটা কাউন্টিং এজেন্টদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। দলের অথেন্টিক ফর্ম নিয়ে এক্কেবারে সকালে তাঁরা পৌঁছে যাবেন গণনাকেন্দ্রে।সবচেয়ে বেশি গণনাকেন্দ্র থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ২৮টি কেন্দ্রে। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের নিরাপত্তা। থাকছে সিসি টিভি। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকবে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

দলের তরফে নেতৃত্ব তাঁদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়ে রেখেছেন।গণনা শুরুর আগে ব্যালট বাক্সের সিল পরীক্ষা করে নিতে হবে।ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট গণনা হবে। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত-পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রতিটি ধাপে মনোযোগ সহকারে কড়া নজর রাখতে হবে।যেহেতু ব্যালট পেপার তাই প্রতিটি ব্যালট খোলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।বিরোধী এজেন্টরা উসকানি দেবে, নানা চক্রান্তে লিপ্ত হবে। ফলে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।গণনাকেন্দ্রে অশান্তি করে ব্যালট ছিনিয়ে নিতে পারে বিরোধীরা। সতর্ক থাকতে হবে।

যা-ই ঘটুক না কেন গণনার টেবিল ছেড়ে ওঠা যাবে না।রিলিভার না এলে গণনা ছেড়ে কোথাও যাওয়া চলবে না।গভীর রাত পর্যন্ত গণনা চলবে। কোথাও সারা রাতও চলবে। ফলে প্রস্তুত থাকতে হবে।গণনার সময় কোনওরকম সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট অফিসার ও দলকে জানাতে হবে।জয়ের উল্লাসে গা ভাসালে চলবে না এজেন্টদের। প্রতিটি স্তরের গণনা শেষ হলে রেজাল্ট বুঝে নিতে হবে।যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনটি স্তরের গণনা শেষে সরকারিভাবে ঘোষণা হচ্ছে, ততক্ষণ গণনার টেবিল ছাড়বেন না।সঙ্গে ডায়েরি-খাতা-একাধিক কলম রাখবেন। যাতে প্রতিটি রাউন্ডে ব্যালটের হিসেব আপনার কাছে থাকে।

কমিশন জানিয়েছে ভোটগণনা আটটা থেকে শুরু হলেও ব্যালট পেপার সর্টিং শেষ করে মূল গণনার কাজ শুরু হতে ৯টা বেজে যাবে। দুপুর ১টার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়পতের গণনার কাজ শেষ হবে বলেই ধারণা কমিশনের।গণনা শেষ হলে কেন্দ্র থেকে সবাই বেরিয়ে গেলে তারপরেই শুরু হবে পঞ্চায়েত সমিতির গণনার কাজ। তারপর একভাবেই জেলা পরিষদের গণনার কাজ শুরু হবে।

Previous articleভোট হিং.সা নিয়ে হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে “দার্শনিক” মন্তব্য কুণালের
Next article‘রোনাল্ডো-মেসির থেকেও আমি এগিয়ে’, বললেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী