উত্তরে পিছিয়ে থাকা জেলাতেও সবুজ ঝড়, কুর্মি-মতুয়া গড়েও কুপোকাৎ বিজেপি

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যজুড়ে যে জনসংযোগ যাত্রা অর্থাৎ, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে পঞ্চায়েত ভোটে।

0
1

ফের মমতার সঙ্গে গ্রাম বাংলা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের (TMC) ব্যাপক সাফল্যের মধ্যে নজর কেড়েছে অতীতে হেরে যাওয়া এলাকাতেও ঘাসফুলের জয়জয়কার। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ফসল তুলেছে শাসক দল। জঙ্গলমহল সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও আরও শক্তি বাড়াল তৃণমূল। মনে করা হচ্ছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) রাজ্যজুড়ে যে জনসংযোগ যাত্রা অর্থাৎ, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে পঞ্চায়েত ভোটে।

পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার কাজে নেমে পড়েছিল তৃণমূল। অভিষেকের নেতৃত্বে শুরু হয় নবজোয়ার কর্মসূচি। ৫২ দিন ধরে জনসংযোগ যাত্রার মাধ্যমে তিনি চষে ফেলেন কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে আনা হয়। সিংহভাগ আসনে নতুন মুখকে প্রার্থী করা হয়।

পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই স্পষ্ট, গ্রামের মানুষ দু’হাত উজাড় করে সমর্থন দিয়েছে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের যেসব জায়গায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি, সেখানে এবার জমি হারিয়েছে গেরুয়া শিবির। চা বলয় সহ আলিপুরদুয়ার জেলায় ভালো করেছে তৃণমূল। শীতলকুচিতেও শাসক দল জয়ী হয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটা ছাড়া উত্তরবঙ্গের অন্যত্র বিরোধীরা ভোট নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ করেনি। অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ পথে পাহাড়ে তৃণমূলের জয়যাত্রা শুরু হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে, জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভালো ফল করেছে তৃণমূল। কুর্মিদের বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে বলে ভোটের সময় প্রচার করেছিল তৃণমূল। সেই বক্তব্য যে মানুষ গ্রহণ করেছে, তা পঞ্চায়েতের ফলাফলে স্পষ্ট। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় এর আগে শাসক দলের খারাপ ফল হয়েছিল।

পাশাপাশি রানাঘাট-বনগাঁ-চাকদহ সহ মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের বাক্সে ভোট উপচে পড়েছে। বলে দাবি শাসক দলের। বিশেষত, বনগাঁয় ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাকে সাধারণ মতুয়ারা যে ভালোভাবে নেয়নি, বিজেপির হারে তা প্রমাণিত।