ভোটের দিন বুথেই সেরিব্রাল অ্যাটাক, মৃত ভোটকর্মীর পরিবার কমিশনকেই দায়ী করছে

তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ভোটের কাজ ও নির্বাচনের দিনের পারিপার্শ্বিক চাপেই প্রাণ গিয়েছে রেবতীমোহন বিশ্বাসের।তাঁর মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তারা

পঞ্চায়েত ভোটের দিন শুরুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল। কিন্তু মিনিট পনেরো গড়াতেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায়।গত ৮ জুলাই সকালে ভোটের কাজ শুরুর কিছু পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রেবতীমোহন বিশ্বাস।হাঁসপুকুরিয়া বিদ্যাপীঠের শিক্ষক করিমপুর ১ ব্লকের ১৩৪ নম্বর পোলিং স্টেশনে ডিউটি করছিলেন।জানা যায় তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত  তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ভোটের কাজ ও নির্বাচনের দিনের পারিপার্শ্বিক চাপেই প্রাণ গিয়েছে রেবতীমোহন বিশ্বাসের।তাঁর মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তারা।একই অভিযোগ করেছে সরকারি কর্মীদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। বিষয়টি নিয়ে আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তাঁরা।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা ২০১৮ সালে ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন।পরিবারের দাবি, “নির্বাচন কমিশন রাজকুমার রায়ের মতো পরোক্ষভাবে খুন করলেন ভোটকর্মী রেবতীমোহন বিশ্বাসকে।” যদিও তাদের এই অভিযোগ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি কমিশনের তরফে। পরিবারের পরিজনরা যাই দাবি করুন না কেন, চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, রেবতীমোহন বিশ্বাসের মৃত্যু সেরিব্রাল অ্যাটাকেই হয়েছে।