বায়ুসেনার(Air Force) পাশাপাশি এবার ভারতীয় নৌসেনাকে(Indian Navy) যুদ্ধের ময়দানে আরও খানিক এগিয়ে নিয়ে যেতে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত। নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের(INS Vikrant) জন্য ফ্রান্সের(France) কাছ থেকে মেরিন রাফাল যুদ্ধবিমান(Rafale M) কিনছে ভারত(India)। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের(Rajnath Singh) নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ভারত-ফ্রান্স দুই দেশের চুক্তিতে দেওয়া হল ছাড়পত্র।

আগেই জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্রান্স সফরে শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। সেইমতো বৃহস্পতিবারই ফ্রান্সে পৌঁছবেন মোদি। চলতি সফরেই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হবে। ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হবে ফ্রান্স-ভারতের। এর মধ্যে ২২টি ‘সিঙ্গল সিটার’, বাকি চারটি ‘ফোর সিটার’ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। এইসঙ্গে তিনটি সাবমেরিন নিয়েও চুক্তি করবে ভারত। জানা গিয়েছিল, চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এদিন সেই অনুমোদনই মিলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে। ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন রাজনাথ সিং। উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান, ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান এবং সেনার উচ্চপদস্থ কর্তারা।
উল্লেখ্য, এর আগেও ফ্রান্সের থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। তবে তা ছিল বায়ুসেনার জন্য। এবার নৌসেনার জন্যও অত্যাধুনিক মেরিন ক্লাস রাফাল কিনতে চলেছে ভারত। তবে এই মেরিন রাফাল আগের রাফালের চেয়ে অনেকখালি আলাদা। এবং এর বিশেষ কিছু বাড়তি গুনও রয়েছে। দু’টি রাফালকে দেখতে অনেকটা একই রকম হলেও ভাল করে দেখলে দেখা যাবে, মেরিন রাফালের সামনের অংশ একটু বেশি লম্বা। ফ্রান্সের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাফাল এম। রাফাল যুদ্ধবিমানের তুলনায় রাফাল এম যুদ্ধবিমানের চাকার শক্তিও বেশি। অবতরণের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে এই যুদ্ধবিমানের চাকা বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মেরিন রাফাল এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে বিমানবাহী রণতরীর উপর থেকেও এগুলি বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ছাড়াও মেরিন রাফালের আরও অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এটিকে যুদ্ধের জন্য উপযোগী বানিয়েছে। অবতরণের সুবিধা এবং কোনও প্রয়োজনীয় জিনিসের বহনের কথা মাথায় রেখে মেরিন রাফালের পিছনে একটি বিশেষ হুক বা ‘টেল হুক’ লাগানো রয়েছে। যা রাফালের পুরনো মডেলে নেই। রণতরী থেকে ককপিটে প্রবেশের জন্য মেরিন রাফালের ভিতরে একটি মই রয়েছে। এই যুদ্ধবিমানের ডানাও ভাঁজ করা যায়। মেরিন রাফালের অস্ত্র পরিবহণের ক্ষমতাও তুলনামূলক ভাবে বেশি। আধুনিক ‘অ্যান্টি শিপ’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ‘এয়ার টু সার্ফেস’ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও উড়তে পারে এই যুদ্ধবিমান। বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের জন্য মেরিন রাফালের ওজন পুরনো রাফালের চেয়ে কিছুটা বেশি।
