অপেক্ষার অবসান! চাঁদে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ৩

0
1

কাউন্টডাউন শেষ। ইসরোর কথামত শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ৩। সব ঠিক থাকলে, চন্দ্রযান ৩ পালকের মতোই সফ্ট ল্যান্ড করবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আঁধার পিঠে, কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হবে না, এমনটাই দাবি ইসরো (ISRO)। নাসা যেমন তাদের আর্টেমিস মিশন নিয়ে হইচই করছে, ইসরোর অন্দরেও তেমনই তৃতীয় চন্দ্রযাত্রা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।

আরও পড়ুনঃশুরু কাউন্টডাউন! আজ দুপুরেই চন্দ্রযান ৩ পাড়ি দেবে চাঁদে

এত দিনের অপেক্ষার শেষে, আজ, শুক্রবার, ১৩ জুলাই দুপুর ২:৩৫ দ্বিতীয় চন্দ্রযাত্রার ব্যর্থতা কাটিয়ে পৃথিবীর মাটি ছাড়ল চন্দ্রযান-৩। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে জিএসএলভি মার্ক-৩ (GSLV Mark 3) রকেটে চেপে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সীমা ছাড়িয়ে গেল ইসরোর চন্দ্রযান। এই গোটা মিশনের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা।

২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অভিযানে রোভার-সহ বিক্রম নামের ল্যান্ডারটি চাঁদে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকে কিছুদিন সে ভাবে চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাড়াশব্দ করেনি ইসরো।

চন্দ্রযান ৩ -এ নতুন কী কী রয়েছে?
চন্দ্রযান-২ অভিযানের তিনটি অংশ ছিল, অরবিটার (যা কক্ষপথে পাক খায়), ল্যান্ডার (যা মাটিতে অবতরণ করে এবং এক জায়গায় থিতু হয়) এবং রোভার (যন্ত্রচালিত গাড়ি)। সূত্রের খবর, চন্দ্রযান-৩ অভিযানে অরবিটার থাকছে না। শুধু ল্যান্ডার এবং রোভার থাকবে। সেগুলির পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। চন্দ্রযান ৩-এর প্রযুক্তিতে কী কী বদল আনা হয়েছে সেই ব্যাপারে এখনও সবটা জানাননি ইসরোর গবেষকরা। শোনা গেছে, তৃতীয় চন্দ্রযাত্রার উদ্দেশ্যও হতে পারে চাঁদের আঁধার পিঠ অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুর রহস্যের খোঁজ। এই দক্ষিণ মেরুরই কোথাও হারিয়ে গেছে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রম। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের সেই রহস্যময় পিঠেরই গোপন কথা সামনে আনবে।

এবারের চন্দ্রযানে মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে, যা সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে। জ্বালানি সহ মহাকাশযানটির ওজন প্রায় আড়াই হাজার কেজি। জ্বালানিশূন্য অবস্থায় সেটির ওজন ৫০০ কিলোগ্রামে নেমে আসবে। তাতে থাকবে বিশেষ ক্যামেরা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি। অবতরণস্থল থেকে যদি ল্যান্ডার সরেও যায় তাহলেও যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় থাকে সেই প্রযুক্তিও দেওয়া হচ্ছে।