সুকান্তর “দত্তক” নেওয়া গ্রামেও শতাধিক ভোটে হার বিজেপির

সাংসদ হওয়ার পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ওই গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে আরও ভরাডুবি হল বিজেপির। এমনকী, বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের যে সকল জায়গায় পদ্মের চাষ হয়েছিল, সেখানেও পঞ্চায়েতে ঘাসফুল গজিয়েছে। দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুরদের বুথে হেরেছে বিজেপি। এখানেই শেষ নয়, দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)দত্তক নেওয়া চকরাম গ্রামেও হার বিজেপির। লজ্জা থাকলে সুকান্তর ওই গ্রামে আর যাওয়া উচিত নয় বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।

প্রসঙ্গত, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চকরাম গ্রাম। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখিত বীর চুরকা মুর্মুর গ্রাম। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামে গতবার জিতেছিল বিজেপি। সাংসদ হওয়ার পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ওই গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গ্রামে বেশ কিছু সৌরবাতি লাগিয়েছিলেন সাংসদ তহবিলের টাকায়। তবে রাস্তাঘাট, নিকাশি বা গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে সাংসদের বড় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই। যার প্রতিফলন ঘটেছে ভোট বাক্সে।

গ্রাম সংসদেই শতাধিক ভোটে হেরেছে বিজেপি। চকরাম সংসদে মোট ভোট পড়েছে ১০৭৩ জন। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী সুধা দেবনাথ পেয়েছেন ৪৮৯টি। বিজেপি প্রার্থী অষ্টমী দেবনাথ পেয়েছেন ৩৭৭টি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামে এভাবে বিজেপির হার নিয়ে জোরচর্চা গোটা রাজ্যে।

 

 

Previous articleবিষ্ণুপুরে তৃণমূল কর্মীর খু.নের ঘটনায় চাঞ্চ.ল্য!
Next articleবিপ.দ সীমার উপরেই যমুনার জল, বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস মৌসম ভবনের!