অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের সরকারি সম্মান বা পুরস্কার ফেরত দেন।সেই দলে কে নেই? ক্রীড়াবিদ থেকে বিশিষ্টজন, তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত হোক বা অন্য কোনও আর্থ-সামাজিক ইস্যু, অনেক পুরস্কার প্রাপকই প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে পুরস্কার প্রত্যাখান করেন।এবার প্রতিবাদের সেই অস্ত্রটিই বিশিষ্টদের হাত থেকে কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র!
সম্প্রতি সংসদের পরিবহণ, পর্যটন এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত কমিটি একটি প্রস্তাব দিয়েছে।সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এভাবে সম্মান ফেরানোর প্রবণতা বন্ধ করতে আগে থেকেই পুরস্কার প্রাপকদের থেকে মুচলেকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। কমিটির আবেদন, সরকার এমন একটি ব্যবস্থা করুক, যেখানে পুরস্কার পাওয়ার আগেই প্রাপক জানিয়ে দেবেন, তিনি কোনও অবস্থাতেই সেই পুরস্কার ফেরাবেন না।ওই সংসদীয় কমিটির বক্তব্য,এভাবে পুরস্কার ফেরতের জেরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া যে সংস্থা সম্মান দিচ্ছে, বা যে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, সেগুলিরও সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।
ওই সংসদীয় কমিটির আবেদন, কাউকে সরকার বা কোনও সংস্থা সম্মান দেয় নির্দিষ্ট কোনও ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ। ওই ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক কারণে ওই সম্মান ফেরত দেয়, তাহলে সেটা ওই সম্মান এবং দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকারক। সেই সঙ্গে কমিটির সুপারিশ, যদি কেউ সরকারি সম্মান পাওয়ার পর ফেরত দেন, তাহলে শাস্তি হিসাবে তাঁর নাম যেন আর কোনও সরকারি পুরস্কারের ক্ষেত্রে না সুপারিশ করা হয়।পুরো বিষয়টি নিয়ে আদৌ কোন সিদ্ধান্ত হবে , তা সময়ই বলবে।