পর.কীয়ার জেরে অন্তঃ.সত্ত্বা! ১১ দিনের শিশুকে বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে মা

স্থানীয় সূত্রে খবর, ৫ বছর আগে মহিলার স্বামী মারা যান। তারপর সম্প্রতি একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই সম্পর্কের কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মহিলা।

0
2

স্বামী মারা গিয়েছিলেন বছর কয়েক আগেই। তারপরই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। সেই সম্পর্কের জেরেই সন্তানসম্ভবা (Pregnant) হয়ে পড়েন ওই মহিলা। পরে একটি সন্তানও প্রসব করেন তিনি। তবে স্বামী মারা গেলেও কীভাবে তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লেন এই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার ভয়েই সেই সদ্যোজাত শিশুকে (New Born Baby) ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠল খোদ মায়ের (Mother) বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নরেন্দ্রপুর থানা (Narendra Police Station) এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম শুক্লা দাস (Shukla Das)। তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাভুতিয়ার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ৫ বছর আগে মহিলার স্বামী মারা যান। তারপর সম্প্রতি একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই সম্পর্কের কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মহিলা। তবে প্রাথমিকভাবে গর্ভপাত করানোর কথা ভাবলেও পরে নিজের ভাবনা পরিবর্তন করেন শুক্লা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিষয়টি নজরে আসে প্রতিবেশী তাপস মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী শান্তি মণ্ডলের। আর টাকা কামানোর সুবর্ণ সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাননি আয়ার কাজ করা শান্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই পরিকল্পনা শুরু করেন ওই আয়া। কাজের সুবাদে বহু মানুষের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল শান্তির। পরে তিনিই পঞ্চাসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা নিঃসন্তান ঝুমা মালিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন শুক্লার। পরে নিঃসন্তান ঝুমা মালিক জমি বিক্রি করে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শুক্লা দাসের থেকে তাঁর ১১ দিনের সন্তান কিনে নেন।

তবে খুব গোপনে হলেও বিষয়টি জানাজানি হতে বেশি সময় লাগেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি কানে আসতেই শুক্লা দাসের প্রতিবেশী উত্তম হালদার নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্লা দাস, ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী আয়া শান্তি মণ্ডল, তাঁর স্বামী তাপস মণ্ডল ও ঝুমা মাঝিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৭, ৩৭০, ৩৭২, ১২০বি ও ৮১ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও বাচ্চা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শুক্লা দাস। তাঁর দাবি, তিনি বাচ্চাটিকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেননি। শুধু মানুষ করার জন্য ঝুমা মাঝির কাছে দিয়েছিলেন। তবে বিষয়টির সত্যতা খতিয়ে দেখছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।