পঞ্চায়েতের ৪ জয়ী প্রার্থীকে অ.পহরণ! ‘সাজানো ঘটনা’ দাবি তৃণমূলের  

পঞ্চায়েত (Panchayat) বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে না হতেই ফের রাজ্যে নতুন অশান্তির চেষ্টা বিরোধীদের। এবার মথুরাপুরের (Mathurapur) জয়ী চার বিরোধী প্রার্থীকে শহর কলকাতা থেকে অপহরণের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করেছ জেলা সিপিএম (CPIM) নেতৃত্ব। পাশাপাশি দ্রুত তদন্তের আর্জি জানিয়ে শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রবীণ সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguly)। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীরা নির্বাচনে হেরে বোর্ড গঠনের আগে ফের নতুন নাটক শুরু করেছে। যেখানে তৃণমূলের (TMC) দখলে সবকটি জেলা পরিষদ, সেখানে তাদের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সম্পাদক বাপি হালদারের দাবি, এসবই সাজানো ঘটনা। কোনও অপহরণ হয়নি। এঁরা সকলে তৃণমূলেই যোগ দেবেন। সেই কারণে এসব বলে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করছে সিপিএম।

বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার পঞ্চসায়র থানা এলাকায়। যাঁদের অপহরণ করা হয়েছে, তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থী বলে খবর। তিন বিজেপি প্রার্থী ও এক বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চসায়র থানা এলাকার পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার প্রার্থী। তাঁদের পরিবারের দাবি, রাত ঠিক ১১ টা ৭ মিনিট থেকে ১১ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা গেস্ট হাউসে এসেছিলেন। পরে রাতে খাওয়াদাওয়ার পর তাঁরা দেখেন আচমকা তাঁদের গেস্ট হাউসের নীচে পরপর বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। তারপরই মথুরাপুরের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও খবর, বিজেপির ৩ জয়ী প্রার্থী ও একজন বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী বৃহস্পতিবার এসেছিলেন কলকাতায়। পঞ্চসায়র এলাকায় একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ১১ টা ১৫ নাগাদ আচমকাই একটি গাড়ি এসে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে সবই দেখা গিয়েছে। এমন খবর পেয়ে জোর করে অশান্তির চেষ্টা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্বের। পঞ্চসায়র থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সিসিটিভ ফুটেজ থেকে গাড়ির নম্বর দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।