জমজমাট মোহনবাগান দিবস। দু’দিন ধরে পালন হল মোহনবাগান দিবস। প্রথা ভেঙে মোহনবাগান দিবস এবছর পালন করা হয় দুদিন ধরে। ২৯ জুলাই ছিল মহরম। তাই মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠান হল দুদিন। ২৯ জুলাই সবুজ-মেরুন দিবস পালন করা হয় সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী ‘ষোলো আনা বাবলু’ প্রকাশ অনুষ্ঠান দিয়ে। আর দ্বিতীয় দিন পালন করা হল পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

এবছর মোহনবাগান রত্ন সম্মান পেলেন প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার। রবিবার এই সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার বেকেনবাওয়ার। তিনি বলেন, “ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই। আমি কোনও কিছু পাওয়ার জন্য করিনি। ফলের আশা করিনি। আমার নাম বিবেচিত করার জন্য খুশি হয়েছিলাম।ফুটবলার হিসেবে দুই বড় প্রধানে খেলেছি।মোহনবাগানের জার্সিতে ফুটবল সম্রাট পেলের বিরুদ্ধে খেলেছি। তাঁর প্রশংসা পেয়েছি। সেই ক্লাব আমাকে রত্ন সম্মানিত করছে। আমি অভিভূত। পুরোটাই স্বপ্ন মনে হচ্ছে। বিদেশ মানস না থাকলে আজকের এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না। কিছু পাওয়ার জন্য ফুটবল খেলিনি। সাফল্য পেতে স্বপ্ন, ইচ্ছে এবং জয়ের ইচ্ছে থাকা জরুরি।”

এদিকে জীবনকৃতি সম্মান পেলেন প্রাক্তন ফুটবলার শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুটবলারের থেকেও কোচ হিসেবে মোহনবাগানে বেশি সময় কাটিয়েছেন তিনি। এই স্বীকৃতি পেয়ে খুশি শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি মোহনবাগানের ফুটবলার ছিলাম, সেটাই গর্বের। অনেক কিছু দেওয়ার ছিল, কিন্তু দিতে পারিনি। ফুটবলারের থেকেও মোহনবাগানে আমি কোচিং বেশি করিয়েছি। মোহনবাগানের এই সম্মান আমার কাছে বিশাল ব্যাপার। অনেকদিন মাঠ থেকে চলে গিয়েছি। মোহনবাগান আমাকে কিছু দেবে ভাবতেও পারিনি।”

এদিকে বর্ষসেরা ভারতীয় ফুটবলার শিবদাস ভাদুড়ী পুরস্কার উঠল বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের হাতে। তিনি আগামী মরশুমে ফের নির্ভরতা দেওয়ার বার্তা দিলেন। বর্ষসেরা ক্রিকেটার অরুনলাল পুরস্কার পেলেন অর্নব নন্দী। তাঁর গলায় কঠিন পরিস্থিতি থেকে ট্রফির আলো নিয়ে আসার লড়াইয়ের কথা। বর্ষসেরা ফরোয়ার্ড সুভাষ ভৌমিক ট্রফি পেলেন দ্রিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত। তাঁর পুরস্কার নিলেন বিশাল কাইথ। বর্ষসেরা ক্রীড়াসংগঠক অঞ্জন মিত্র পুরস্কার পেলেন নবাব ভট্টাচার্য। এছাড়াও সেরা সমর্থক উমাকান্ত পালোধী পুরস্কার দেওয়া হল শান্তি চক্রবর্তী এবং কমলেশ উপাধ্যায়কে।

এদিন মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী তাপস রায়, ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে, বাগান সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ, আইএফএর দুই সহ-সভাপতি সৌরভ পাল, স্বরূপ বিশ্বাস, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, মহামেডান সচিব ইশতিয়াক আহমেদ, শীর্ষকর্তা কামারুদ্দিন, সুব্রত ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন ১৯১১ শিল্ডজয়ী অমর একাদশের পরিবার। লোপামুদ্রার গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শেষে একের পর এক সুপারহিট গানে ক্লাব তাঁবু মাতান বাবুল সুপ্রিয়। সব মিলিয়ে মোহনবাগান রত্ন প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজনের ত্রুটি ছিল না।

আরও পড়ুন:কলকাতা লিগে পিয়ারলেসকে ২-১ গোলে হারাল মহামেডান
