মণিপুর ইস্যুতে মুখ খুলবেন মোদি, আলোচনা এড়াতে অধিবেশনের শেষলগ্নে সময়

চাপে পড়ে অবশেষে সংসদে মণিপুর(Manipur) ইস্যুতে বিবৃতি দিতে রাজি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। তবে এমন একটা সময়ে মোদির বিবৃতির দিন ঠিক করা হল যখন আলোচনার কোনও সুযোগ থাকছে না। আগামী ১১ অগাস্ট শেষ হচ্ছে বাদল অধিবেশন। তার আগে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে ১০ আগস্ট একতরফা মণিপুর ইস্যুতে সংসদে(Parliament) বক্তব্য রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ কোনও রকম আলোচনা এড়াতেই ঠিক করা হয়েছে এই দিনক্ষণ। এমনটাই দাবি বিরোধীদের।

মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion) গৃহীত হয়েছে লোকসভায়। জানা গিয়েছে, আগামী ৮ অগাস্ট থেকে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। দু’দিন ধরে আলোচনার পরে জবাব দেবে কেন্দ্র। অর্থাৎ ১০ আগস্ট কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার পালা। সেখানেই বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এলো এই দিনক্ষণ। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গত ২৬ জুলাই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহিত হলেও এতদিন আলোচনা না করে তা ফেলে রাখা হল কেন? এই ইস্যুতে মঙ্গলবারও সংসদে সুর চড়ান বিরোধীরা। মণিপুর ইস্যুতে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কবে আলোচনা হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট একটি তারিখ জানান স্পিকার। এরপরই লোকসভা সূত্রে জানা যায়, আগামী ৮ ও ৯ তারিখ আলোচনা হবে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। ১০ আগস্ট কেন্দ্রের জবাবি ভাষণ। সেখানেই মুখ খুলবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে পরিকল্পিতভাবে আলোচনার দিন পিছিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, যাতে এই বিষয়ে কোনওরকম আলোচনার সুযোগ না থাকে তার জন্যই অধিবেশনের একেবারে শেষ লগ্নে রাখা হয়েছে মোদির বিবৃতির সময়। ১১ অগাস্ট অধিবেশন শেষ হবে, তার আগে ১০ অগাস্ট বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে এই ইস্যুতে মোদির বিবৃতির পাল্টা কোনোরকম আলোচনার সুযোগ থাকছে না। মণিপুর ইস্যুতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই পরিকল্পনা মোদি সরকারের। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

উল্লেখ্য, প্রায় তিনমাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে কিছুই বলেননি। সংসদে দাঁড়িয়ে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে-সেই দাবিতে সুর চড়ান বিরোধীরা। তারপরেই সংসদে পেশ হয় অনাস্থা প্রস্তাব। এবং আলোচনা এড়াতে অধিবেশনের শেষ দিনে মণিপুর ইস্যুতে বিবৃতির সময় রাখা হল প্রধানমন্ত্রীর।

Previous articleপ্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সাক্ষী, প্রয়াত ১২৭ বছরের  বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ
Next articleর.ক্ত দিতে হবে বুদ্ধদেবকে: সামান্য উন্নতি হতেই বাড়ি যাওয়ার ‘আবদার’, দেখতে গেলেন ঋতুপর্ণা