রাহুলের সাংসদ পদ ফেরাতে গড়িমসি! স্পিকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

যত দ্রুততার সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, পদ ফেরানোর ক্ষেত্রে তৎপরতা তো দূর রীতিমত গড়িমসি করতে শুরু করেছেন লোকসভার স্পিকার। ফলস্বরূপ স্পিকার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস(Congress)।

মোদি পদবী মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। এরপরই যত দ্রুত সম্ভব রাহুলের সাংসদ পদ ফেরাতে সচেষ্ট কংগ্রেস। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ হওয়ার পরই কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু স্পিকার তাঁকে শুক্রবারের বদলে একদিন পর অর্থাৎ শনিবার দেখা করতে বলেন। অধীরের কথা অনুযায়ী, “শনিবার স্পিকারকে ফোন করলে তিনি আমাকে লোকসভার সচিবের সঙ্গে দেখা করে রায়ের কপি-সহ সব নথি জমা দিতে বলেন। এরপর আমি সচিবকে ফোন করি। কিন্তু তিনি জানান আজ আমার অফিস বন্ধ। আপনি স্পিকারের সঙ্গে কথা বলুন। এরপর আমি সব নথি ডাকবিভাগের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছি। নথিতে স্পিকার সই করলেও স্ট্যাম্প মারেননি।”

যার জেরে এবার স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে কংগ্রেস শিবির। তবে রাহুলের সাংসদ পদ ফেরাতে কোনরকম ঢিলেমি যে কংগ্রেস ভালোভাবে নেবে না সেটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবারের মধ্যে যদি সংসদ সচিবালয় কোন পদক্ষেপ না নেয় সেক্ষেত্রে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কংগ্রেস। অবশ্য, কোনও সাংসদের শাস্তি বাতিল হলে কতদিনের মধ্যে সাংসদের পদ ফেলাতে হবে তা নিয়ে কোনও ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া নেই। শেষবার লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের সাংসদ পদ এভাবে ফেরানো হয়েছিল। সেবার হাই কোর্ট ফয়জলের শাস্তি বাতিল করার পরও দীর্ঘদিন তাঁর সাংসদ পদ ফেরানো নিয়ে লোকসভার সচিবালয় কোনও পদক্ষেপ করেনি। পরে আবার সুপ্রিম কোর্টে সংসদের সচিবালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে হয় তাঁকে। যদিও সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই শেষপর্যন্ত ফয়জল সাংসদ পদ ফিরে পান। ততদিনে মাসখানেক কেটে গিয়েছে। রাহুলের ক্ষেত্রেও সেই ঢিলেমির ইঙ্গিত পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা।

Previous articleদুরন্ত জয় মোহনবাগানের, ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারাল ২-০ গোলে
Next articleবন্দিমুক্তি নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজভবন, ফাইল স্বাক্ষরে নারাজ আনন্দ বোস