নন্দীগ্রামের স্কুলে অঙ্কের প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু-নওশাদের নাম! “আঁতাত” নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক

প্রশ্নপত্রে পাটি গণিতে লাভ-ক্ষতির একটি অঙ্কে উল্লেখ, শুভেন্দু ও নওশাদ যথাক্রমে ১৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করে

একটি স্কুলের দশম শ্রেণির গণিতের প্রশ্নপত্র নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই প্রশ্নপত্র নিয়ে জোরচর্চা রাজনৈতিক মহলে। ওই প্রশ্নপত্রে একটি অঙ্কে শুভেন্দু ও নওশাদের যৌথ ব্যবসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাদের ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্রে শুভেন্দু বা নওশাদের পদবি উল্লেখ করা না হলেও পঞ্চায়েত ভোটের পর সংশ্লিষ্ট স্কুলের দশম শ্রেণির এই প্রশ্নপত্রে অনেকেই রাজনৈতিক অভিসন্ধির হিসাব কষছেন।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গোপন আঁতাত নিয়ে অনেক আগে থেকেই সরব শাসক দল তৃণমূল। সেই আবহে দশম শ্রেণির অঙ্কের ওই ভাইরাল প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন তৃণমূলের দাবিকে যেন আরও মান্যতা দিয়ে দিল। শুধু তাই নয় স্কুলটি হল নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মহেশপুর হাই স্কুল নামে একটি স্কুলের প্রশ্নপত্র। ফলে বিতর্ক যেন আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

প্রশ্নপত্রে পাটি গণিতে লাভ-ক্ষতির একটি অঙ্কে উল্লেখ, শুভেন্দু ও নওশাদ যথাক্রমে ১৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করে। এক বছর পরে ব্যবসায় ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে শুভেন্দুর ক্ষতি হয় (৪৫টাকা/৩০টাকা/ ২৫টাকা/৪০টাকা)। অর্থাৎ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে পড়ুয়াকে।

অঙ্কের প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই সংশ্লিষ্ট ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস দাস বলেন, “এই প্রশ্নপত্র আমার স্কুলের। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। তবে ওই প্রশ্নে এখনও পরীক্ষা হয়নি। প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করা হবে। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট দু’জন শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” ওই স্কুলের গণিতের শিক্ষক রাজীববাবুর সাফাই, “আমি যে প্রশ্নপত্র তৈরি করে জমা দিয়েছি স্কুলে তার সঙ্গে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের কোনও মিল নেই।”

ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি দেখেছি। কবেকার প্রশ্নপত্র, সেটা তো বলতে পারব না। যদি জেনে বুঝে আমাদের নাম দিয়ে করে, তা হলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তবে এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”


এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজনীতির ময়দানটা পুরোপুরি আলাদা। স্কুলের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে রাজনীতির কোনও মিল থাকুক, তা কাম্য নয়। যে বা যারাই করুক এটা উচিত কাজ হয়নি।”

আরও পড়ুন:৬ বছরে রাজ্যের খরচ ৯ কোটি! স্বাস্থ্যসাথীতে নয়া মাইল স্টোন মমতা সরকারের

 

 

Previous article৬ বছরে রাজ্যের খরচ ৯ কোটি! স্বাস্থ্যসাথীতে নয়া মাইল স্টোন মমতা সরকারের
Next articleপুলিশি তৎপরতায় বেহালার চৌরাস্তায় সামনে থেকে সরানো হল দোকান, ফের খুলল বড়িশা হাইস্কুল