২৪ সপ্তাহের অন্তঃস.ত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত সম্ভব?মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের

খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এগারো বছরের এক নাবালিকা। মা-বাবা যখন জানতে পারেন তখন তাঁর ২৩ মাস ৬ দিনের গর্ভাবস্থা।একেই কিশোরী। তার উপর আবার গর্ভাবস্থার ২৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিশোরীর পরিবার।এমতাবস্থায় ধর্ষিত নাবালিকার গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি বিভাগের দক্ষ চিকিৎসকেরা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করবেন। সোমবার রিপোর্ট দিতে হবে হাই কোর্টে। সেদিনই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত।

আরও পড়ুনঃহাড়োয়ায় গু*লিবিদ্ধ তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী, তদন্তে পুলিশ

হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুরোগ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে হবে। গর্ভপাত সম্ভব কিনা তা জানতে পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও তমলুক হাসপাতাল সুপারকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। আদালত আরও জানায়, পরের ৪৮ ঘণ্টায় নাবালিকাকে যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। আগামী সোমবার সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টে। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরে পরামর্শ শুনেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

আইন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনও মহিলা, নাবালিকা বা নাবালিকার পরিবার ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাত করাতে চেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। গর্ভপাত আইন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী প্রসূতি-সহ কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শারীরিক প্রতিবন্ধী, ধর্ষণের শিকার, নাবালিকা মায়েদের গর্ভপাতের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে। তার পরে গর্ভপাত করাতে গেলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। নাবালিকার বয়স নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি। ওই পরিবারের আইনজীবী প্রতীক ধর তাঁর সওয়ালে জানিয়েছিলেন, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। এখন সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো তার মানসিক অবস্থা নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির কম। কিন্তু নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক।

প্রতীকের বক্তব্য ছিল, নাবালিকার পরিবারটি আর্থিক ভাবে খুবই দুর্বল। সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম। আইন সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই ওয়াকিবহাল নন। সেই কারণেই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাতে পর্যন্ত দেরি করেছেন তাঁরা। গত মাসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ওই নাবালিকা এখন একটি হোমে রয়েছে। সে মা হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই। আদালতে পরিবারের দাবি, মেয়ে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে শক্ত নয়। একটি ১১ বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের ভার নেওয়া সম্ভব নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকার শারীরিক পূর্ণতা আসেনি। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, অন্তঃসত্ত্বার বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম এবং অন্য কিছু সমস্যা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনও মহিলা, নাবালিকা বা নাবালিকার পরিবার ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাত করাতে চেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে তা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। তার পরে গর্ভপাত করাতে গেলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। নাবালিকার বয়স নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি। ওই পরিবারের আইনজীবী প্রতীক ধর তাঁর সওয়ালে জানিয়েছিলেন, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। এখন সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো তার মানসিক অবস্থা নেই। ২৪ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের নজির কম। কিন্তু নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালত অনুমতি দিক।
মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য,নাবালিকার পরিবারটি আর্থিক ভাবে খুবই দুর্বল। সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম। আইন সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই ওয়াকিবহাল নন। সেই কারণেই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাতে পর্যন্ত দেরি করেছেন তাঁরা। গত মাসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। ওই নাবালিকা এখন একটি হোমে রয়েছে। সে মা হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই। আদালতে পরিবারের দাবি, মেয়ে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে শক্ত নয়। একটি ১১ বছরের মেয়ের পক্ষে সন্তানের ভার নেওয়া সম্ভব নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকার শারীরিক পূর্ণতা আসেনি। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, অন্তঃসত্ত্বার বয়স কম হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের ওজন কম এবং অন্য কিছু সমস্যা রয়েছে।এরপরও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চিকিৎসকরা মেয়েটির যাবতীয় মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট জমা করতে করতে ২১ অগস্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ গর্ভাবস্থার ২৫ সপ্তাহ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে নাবালিকার গর্ভপাতের বিষয়টি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে না তো?

Previous articleরাহুলের প্রত্যাবর্তন, ফিরে পেলেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ
Next articleযাদবপুরে রাতভর ঘেরাও ডিন অফ স্টুডেন্টস, পদত্যাগের দাবি পড়ুয়াদের