নাম নয়, কাজের জন্য পরিচিত নেহরু: মিউজিয়ামের নাম বদলে সরব রাহুল

শুধু নাম নয়, জওহরলাল নেহরু(Jawaharlal Nehru) তাঁর কাজের জন্য পরিচিত। মোদি সরকারের ইতিহাস মুছে ফেলা ও নাম বদলের নীতির এভাবেই জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। স্বাধীনতা দিবসের দিনই নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরির নাম বদলে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার সোসাইটি করেছে মোদি সরকার(Modi Govt)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই দিল্লি বিমানবন্দরে(Delhi Airport) মোদি সরকারের নাম বদল নীতির জবাব দিলেন রাহুল।

বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী লাদাখ যাওয়ার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে বলেন, “জওহরলাল নেহেরু এমন একজন ব্যক্তি যিনি নামে নয়, তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবেন। তাঁকে মুছে ফেলা যাবে না।” নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করে, প্রধানমন্ত্রীর যাদুঘর এবং গ্রন্থাগারের নির্বাহী পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ সূর্য প্রকাশ টুইট করেছেন এই সিদ্ধান্তটি “সমাজের গণতন্ত্রীকরণ এবং বৈচিত্র্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ”। আর এর পরই নামবদলের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বুধবারই বিবৃতি দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, নাম বদলে প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করল সরকার। কারণ বাড়িটির সঙ্গে নেহরুজির স্মৃতি জড়িত।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ‘তিনমূর্তি ভবন’ নামক ওই বাড়িটিতে বসবাস করেছেন তার মৃত্যুর পর সেটি নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলে ভারত সরকার। জুনের মাঝামাঝি সময়ে নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এন্ড লাইব্রেরীর এক বিশেষ বৈঠকে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকটির সভাপতিত্ব করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি আবার এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্টও। এই সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। এছাড়া সোসাইটিতে রয়েছেন অমিত শাহ, জি কিষাণ রেড্ডি, নির্মলা সীতারামন, অনুরাগ ঠাকুরের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেই বৈঠকেই নাম বদলের এই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “একটি নতুন ভবনে জাদুঘরটি হবে যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা কীভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে দেশকে পরিচালনা করেছিল এবং দেশের সর্বাত্মক অগ্রগতি নিশ্চিত করেছেন তা দেখানো হবে। এবং এই যাদুঘর সকল প্রধানমন্ত্রীকে স্বীকৃতি দেবে।

Previous articleযাত্রা শুরু বিন্ধ্যগিরির! মমতার উপস্থিতিতে বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাষ্ট্রপতি
Next articleবাংলা সহ আঞ্চলিক ভাষায় এসএসসি পরীক্ষা! সিলমোহর দিল কেন্দ্র