সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। গোটা বিশ্ব ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে ভারতের সাফল্যে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিল প্রতিবেশী পাকিস্তান(Pakistan)। অবশেষে ভারতের(India) বৈজ্ঞানিক সাফল্যের প্রশংসা করল তারা। এক বিবৃতিতে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বললেন, “অসামান্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য, এর জন্য ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা প্রশংসার দাবিদার।”
শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জারা বালোচ বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলব যে এটা অসামন্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য। যার জন্য ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা প্রশংসার দাবিদার।” উল্লেখ্য, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিকগুলি ধনী দেশগুলির তুলনায় কম বাজেটে কৃতিত্ব অর্জনের জন্য ভারতের প্রশংসা করেছিল ঐতিহাসিক ২৩ আগস্টের পরদিনই। যদিও সেদিন পাক সরকার কোনওরকম বিবৃতি দেয়নি। অবশেষে মুখ খুলল পাক সরকার। উল্লেখ্য, বুধবার প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে ইসরোর (ISRO) ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাকিস্তানের প্রাক্তন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি বলেছিলেন, “ইসরোর জন্য আজ অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। দেখলাম ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই সাফল্য উদযাপন করছেন প্রচুর তরুণ বিজ্ঞানীরা। আসলে তরুণরাই স্বপ্ন দেখে এই বিশ্বকে পালটে দিতে পারে। তাঁদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।” বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের লাইভ সম্প্রচার হোক পাকিস্তানেও- এমনটাও দাবি করেছিলেন ফাওয়াদ চৌধুরি।
ইমরান খান সরকারের এই মন্ত্রী ছাড়াও পাকিস্তানি মিডিয়াতে সাড়া ফেলেছিল ভারতের চন্দ্রযান। ডন, নিউজ ইন্টারন্যাশনাল, বিজনেস রেকর্ডার, দুনিয়া নিউজের মতো প্রথমসারির পাক সংবাদপত্রের প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছিল ভারতের চন্দ্রবিজয়ের সংবাদ। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত যে ইতিহাস গড়েছে, সেই খবর প্রকাশ করতে দ্বিধা করেনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্তরের মিডিয়াগুলি। অবশেষে মুখ খুলল পাক সরকার।