Sunday, August 24, 2025

কৃষিজীবীদের পাশে রাজ্য, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ৫ মাসে ২৫৩৬ পরিবারকে বিপুল আর্থিক সাহায্য

Date:

রাজ্যের কৃষকদের(Farmer) আর্থিক নিরাপত্তা দিয়ে ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চালু করেছিলেন ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প। যেখানে অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে জীবন বিমা(Life insurance) বাবদ ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেয় সরকার(Government)। চলতি আর্থিক বছরে অগাস্ট মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পে ২৫৩৬ টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। যার জন্য সরকারের খরচ হয়েছে ৫০.৭২ কোটি টাকা। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নবান্ন(Nabanna)।

রাজ্যসরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে চালু হওয়া কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত মৃত্যুকালীন সহায়তা পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৬৩ টি পরিবার। এই ৪ বছরে এই প্রকল্পে মৃত্যুকালীন সহায়তা খাতে সরকার খরচ করেছে ১৮৬১ কোটি টাকা। এর আগে গত ৯ অগাস্ট ১২৫৪ টি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ২৫.৮ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছিল রাজ্যসরকার। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সহায়তা প্রকল্পে প্রতি বছর অন্তত ৩০ হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের অধীনে উপকৃত হন। এবং রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের বাজেট থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ করে। বলার অপেক্ষা রাখে না শোকাহত পরিবারগুলির সহায়তায় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প দেশের যে কোনও রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি প্রশংসনীয়।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কৃষকরা বা নথিভুক্ত ভাগচাষিরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা পান। এছাড়াও কৃষকদের বছরের নির্দিষ্ট খারিফ এবং রবি মরসুমে ১০০০০ টাকার সাহায্য করা হয় সরকারের তরফে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকের চাষযোগ্য জমি থাকতে হবে। সেটি পাট্টা জমি অথবা নিজের জমি কিংবা বর্গাদার জমিও হলে চলবে। এবং বাংলার বাসিন্দা হওয়ার পাশাপাশি কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version