চাঁদের পর এবার সূর্য জয় করার পালা। শনিবারই রবির দিকে রওনা দিয়েছে আদিত্য এল ওয়ান (Aditya L1)। চাঁদের মতো সৌর অভিযানেও (Solar Mission of ISRO) ইসরোকে সাফল্য এনে দিতে নিরলস পরিশ্রম করছেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা। কিছুদিন আগেই চাঁদ-মিশনের সাফল্যে আনন্দে ভেসেছিল পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ। ফের সাফল্যের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে রানিগঞ্জ।ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন প্রযুক্তিবিদ সানি মিত্র (Sunny Mitra)। আদিত্য L-1 অভিযানেও জুড়ে রয়েছেন ইসরো-র (ISRO) এই ইঞ্জিনিয়ার।
চন্দ্রযান -৩ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘বিকাশ ইঞ্জিন’ তৈরির সিস্টেম ডিজ়াইন দলের সদস্য ছিলেন এই সানি।আইআইটি খড়গপুর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করে ২০১৮-য় ইসরোয় যোগ দেন বাংলার ছেলে। রানিগঞ্জের সানি রয়েছেন সান মিশনের ‘বিকাশ ইঞ্জিন’ বিভাগে।
চন্দ্রযানের পর ইসরোর সৌর অভিযানেও অন্যতম কারিগর বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল (Jayanta Paul)। ২০১৮ সালে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে জুড়ে ছিল তাঁর নাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী সন্তান যাতে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন তাই আশা ছাড়েননি জয়ন্তর বাবা-মা। সকাল থেকেই টিভি-তে চোখ রেখে বসেছিলেন । এখন অপেক্ষা সফল হওয়ার।
ভারতের প্রথম সৌর অভিযান ঘিরে উন্মাদনা চোখে পড়েছে। সূর্যকে নজরবন্দি করার অভিযানে ইসরোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইসার ( Indian Institute of Science Education and Research) কলকাতাও।শুক্রবারই হরিণঘাটা থেকে পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার পথে রওনা দেন সেখানকার সেন্টার অব এক্সসেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্স, ইন্ডিয়ার বিভাগীয় প্রধান দিব্যেন্দু নন্দী।আজ আদিত্য-এল ওয়ান সৌরযানকে নিয়ে যে পিসএলভি রকেট পাড়ি দিল মহাকাশে সেই সৌরযানের সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপের (SUIT ) নজরদারির অন্যতম দায়িত্ব দিব্যেন্দুরই।আইসারের গবেষণাগারে টেলিস্কোপের কিছু নকশাও তৈরি হয়েছে। এর কাজ হবে সূর্যের থেকে ধেয়ে আসা অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে ছবি ফুটিয়ে তোলা এবং তার মাধ্যমে সৌরপৃষ্ঠে ছড়িয়ে থাকা সৌরকলঙ্ক পর্যবেক্ষণ করা। বিজ্ঞানীরা বলছেন সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন।কিন্তু একেবারে উপরের স্তর করোনায় তা আবার ১ মিলিয়ন ডিগ্রি কেলভিন। এই করোনার বিপুল তাপমাত্রার কারণ চৌম্বক ক্ষেত্র ‘ম্যাগনেটিভ রি-কানেকশন’ প্রক্রিয়ায় বাড়তি শক্তি উৎপন্ন করে। এই পুরো পদ্ধতিটা বুঝতে সাহায্য করবে ‘SUIT’।