মণিপুরে(Manipur) হিংসার ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের উপর দায় চাপিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। এমনকি এডিটরস গিল্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। সরকারের হুঁশিয়ারির পেয়ে শীর্ষ আদালতের(Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এডিটর গিল্ড সদস্যরা। সেখানেই মিলল স্বস্তি। শীর্ষ আদালতের তরফে রাজ্যসরকারকে(State Govt) নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল গিল্ড সদস্যদের ব্যাপারে কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য। আদালতে ৩ বিচারপতিকে নিয়ে বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এই বেঞ্চের সভাপতিত্বে ছিলেন স্বয়ং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

সাম্প্রতিক সময়ে মণিপুরে চলতে হিংসার ঘটনায় সংবাদমাধ্যমকে দায়ি করেছিল সেখানকার সরকার। অভিযোগও দায়ের করা হয় ‘এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’র(EGI) বিরুদ্ধে। সরকারের তরফে জানানো হয়, এডিটর গিল্ডের সদস্যরা রাজ্যে আরও বেশি করে সংঘর্ষ এবং হিংসার ঘটনা ঘটাতে চাইছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং বলেন, “মণিপুরের সংকট নিয়ে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’-এর নামে যে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তা খুবই নিন্দনীয়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি রাজ্যে শান্তি এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার। আর, এডিটরস গিল্ডের সদস্যরা চাইছেন এখানে আরও বেশি হিংসা এবং অশান্তি ছড়াতে। তাই তাদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।”

সরকারের তরফে এফআইআর দায়ের করে জানানো হয়, ‘এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্টে একটি পোড়া বাড়ির ছবি প্রকাশ করা হয়। এবং তার নিচে লেখা হয়, ওই পোড়া বাড়ি একটি কুকি পরিবারের। যা ৫ মে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যদিও সেই রিপোর্ট সঠিক ছিল না। বাস্তবে সেটি ছিল চূড়াচাঁদপুরের একটি গ্রামের বনবিভাগের অফিসের। ইজিআই এই ঘটনায় নিজেদের ভুল স্বিকার করে জানায়। ওই তথ্য ভুল ছিল আমরা দুঃখিত। তবে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তৎপর হয় এন বিরেন সিংয়ের সরকার। সেই ঘটনায় অবশ্য সুপ্রিম নির্দেশ স্বস্তি পেল এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’র সদস্যরা।
